শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২২, ১৫:৫৮

৬৮ বছর বয়সে নাতি-নাতনি নিয়ে বিয়ের পিড়িতে দাদা তাপু

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
৬৮ বছর বয়সে নাতি-নাতনি নিয়ে বিয়ের পিড়িতে দাদা তাপু

৬৮ বছর বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসলের কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাবেক কমিশনার ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু। সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাত পাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতুহলের ছিলনা শেষ। ফেসবুকে রসালো ছবি ভাইরাল হয়েছে।

জানা যায়, ফনিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে এক কন্যা সন্তানের জনক। গত বছর করোনায় তাঁর স্ত্রী আলো রানী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মৃত্যু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড় বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের আবদার রাখতে নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসলের ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু। কনে শিউলি রানী কুমিল্লা শহরের অধিবাসী। কনের বয়স ৪০ ছুই ছুই। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয় স্বজনরা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফিরেন ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু। বৃদ্ধ বয়সে মাঝারি বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে আসলে নব বধুকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত নারী পুরুষ ভীর জমায়।

এদিকে ফনি ভূষণ মজুমদার তাপুর বিয়ে ছবি ফেইস বুকে ভাইরাল হয়ে পরলে এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর করোনায় আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করার পর আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।

নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুমার মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একাকিত্ব হয়ে পড়ি। মা ও বাবা ডাক্তার হওয়ায় তারা সর্বসময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা ফার্মেসি নিয়ে বাজারে নিজকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহা খুশি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়