প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ১৭:৩৬
বিজনেস নেগোসিয়েশন : দ্যা চাইনিজ স্টাইল বেজড্ অন কনফুসিয়ানিজম থিওরি শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত
"কনফুসিয়ানিজম তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চীনা স্টাইলে ব্যবসায়িক নেগোসিয়েশন " এই শিরোনামে শনিবার ৩০ এপ্রিল জুমলিঙ্কের মাধ্যমে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
চীনের চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বেল্ট এন্ড রোড রিসার্চ সেন্টার যৌথভাবে এই ওয়েবিনার এর আয়োজন করে।
চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।
ওয়েবিনারে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির নৈতিক দিক এবং "কনফুসিয়ানিজম থিওরি অনুসারে চীনা স্টাইলে বিজনেস নেগোসিয়েশন থেকে বাংলাদেশ কী শিখতে পারে এই বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ অনুষদের ডিন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর ডিন এবং অধ্যাপক ড. ঝাং শিফেং৷
ওয়েবিনারে সেশন রিঅ্যাক্টর এর ভূমিকায় ছিলেন, ব্যবসা ও উদ্যোক্তা অনুষদের সাবেক ডিন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপের এডিটর-ইন-চিফ প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এর চীনা পরিচালক ড. ইউং হুয়ে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেইজিং চেং ইউশুয়ান কালচারাল কমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড এর সিইও লরা লি
প্রধান অতিথি এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, চীনের অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর এবং একটি সম্পূর্ণ উৎপাদন নেটওয়ার্কের পাশাপাশি ব্যাপক বিকশিত হওয়ার অন্যতম কারণ এই তত্ত্বের যুক্তি। চীনকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে চীনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে। সম্প্রতি চীন বাংলাদেশের ৯৮% পণ্যের ওপর শুল্ক মওকুফ করেছে। এতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে উচ্চ হারে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।
তিনি আরও বলেন, এটি বেশ স্পষ্ট যে চীনা ব্যবসায়িক আলোচনার শৈলীটি পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সুবিধার উপর ভিত্তি করে এবং প্রতিটি পক্ষের সফলতার জন্য সহযোগিতা "জয়-জয়" সমাধান চায়। কনফুসিয়ানিজম তত্ত্ব আলোচনায় উভয় পক্ষের আস্থা ও আন্তরিকতাকে উচ্চ মূল্য দেয় যেখানে আজীবন প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ধার্মিকতার চাষ লাভের অন্বেষণের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চীনা আলোচকরা অন্যান্য জিনিসের চেয়ে আলোচকের ব্যক্তিগত এবং নৈতিক আচরণের উপর বেশি মনোযোগ দেয়।
ওয়েবিনারে মূল বক্তা অধ্যাপক ড. ঝাং শিফেং তার আলোচনায় বলে যে, কনফুসিয়ানিজম তত্ত্বটি ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বাস এবং সততা তৈরির উপর ভিত্তি করে। তিনি কনফুসিয়ানিজম এবং এর মূল সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, কার্যকর দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনা, আন্তঃসাংস্কৃতিক ব্যবসায়িক আলোচনা, চীনা আলোচনা প্রক্রিয়া এবং মডেল, ব্যবসায়িক আলোচনার সাংস্কৃতিক কারণ গুলো কী কী এবং ভৌগলিক এলাকা অনুসারে আলোচনার ধরন, ব্যবসায়িক সম্পর্কের গুরুত্ব, একটি সফল আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সম্মানিত অতিথি ড. ইউং হুয়ে তার আলোচনায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যাতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব এবং দুই দেশের অভিন্ন উন্নয়নের প্রচার করা যায়।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ড. এ কে এম মহসিন; সমন্বয় করেন চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর ডক্টরাল ফেলো এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম।