প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৫৪
পরাজিত প্রার্থীর কাণ্ড!
পরাজয়ের জেরে ভেঙ্গে গেলো সাঁকো
ভোটে হেরে গিয়ে ২শ’ পরিবারের চলাচলের একমাত্র বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে দিলের মেম্বার (ইউপি সদস্য) প্রার্থী কামরুজ্জামান মোল্লা। পরাজিত এই প্রার্থী নিজে মঙ্গলবার দুপুরের এমন কাণ্ড ঘটান হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাধাসার গ্রামের মৃধাবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। তবে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান মোল্লা দাবি করেছেন বাঁশের সাঁকোটি তার নিজের জমির উপর। তিনি কাজ করার জন্য সাঁকোটি সরিয়ে দিয়েছেন।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কামরুজ্জামান মোল্লার উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তিনি ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য রবিউল আলমের কাছে হেরে যান।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, কামরুজ্জামান মোল্লা ভোটে হেরে মৃধা বাড়ির ভোটারদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে হাত দা নিয়ে চার বাড়ির চলাচলের একমাত্র পথ বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে দেন।
এ বিষয়ে মৃধা বাড়ির আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত হোসেন, সফিকুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানসহ বেশ কজন জানান, প্রতি বছর বর্ষা শেষে তারা বাড়ির লোকজন চলাচলসহ রাধাসার ছয়ছিলা কৃষি মাঠে যাওয়া আসার জন্য বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। এই সাঁকোটি দিয়ে চার বাড়ির প্রায় দুইশ’ পরিবারসহ পাশের বাখরপাড়া গ্রামের লোকজন চলাচল করেন।এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে এদিন মঙ্গলবার সকালে কামরুজ্জামান মোল্লা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে দেন। যার ফলে রাধাসার গ্রামের তফাদার বাড়ি, মৃধা বাড়ি, মোল্লা বাড়ি ও পাটওয়ারী বাড়িসহ ২শ’ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
সাঁকোটি ভাঙ্গার বিষয়টি স্বীকার করে কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, নির্বাচনে হেরে নয়, আমাদের সম্পত্তির উপর দিয়ে বাঁশের সাঁকোটি করা হয়েছে তাই ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আমাদের সম্পত্তির উপর বাঁশের সাঁকোটি স্থাপন করার কারণে আমি কিছু বলতে পারিনি। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে। তাই এখন আমাদের প্রয়োজনে সাঁকোটি আমি ভেঙ্গে দিয়েছি।
বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওই বাড়ির লোকজন সাঁকো ভাঙ্গার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।