শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৫৫

হাইমচরে নৌকার প্রার্থী রাজাকারের সন্তান!

স্টাফ রিপোর্টার
হাইমচরে নৌকার প্রার্থী রাজাকারের সন্তান!

চতুর্থ ধাপে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৫নং হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী জুলহাস সরকারের পিতা ও চাচা চিহ্নিত রাজাকার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তুোষ কুমার মজুমদার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকবুল সরকার নৌকার প্রার্থী জুলহাস সরকারের পিতা মো. জলিল সরকার ও চাচা মো. হামিদ সরকার রাজাকার ছিলেন বলে চিহ্নিত করেছেন।

২৪ নভেম্বর হাইমচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী মনোনীত করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর ২৫ নভেম্বর হাইমচর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তুোষ কুমার মজুমদার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবর রাজাকারের সন্তান নৌকা মার্কার প্রার্থী বিষয়টি অবগত করে লিখিত দরখাস্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরিত দরখাস্তের কপি দেয়া হয় গনমাধ্যমে।

এই বিষয়ে হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকবুল সরকার বলেন, হাইমচর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী জুলহাস সরকার এর চাচা হামিদ সরকার শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে চাঁদপুর শহরের মুলহেডে মুক্তিবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার পিতা জলিল সরকার ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য। তৎকালীন সময়ের সকল লোক এই বিষয়ে জানেন। কিন্তু তারা যেহেতু মৃত্যুবরণ করেছেন সে জন্য তাদের বিষয়ে আলোচনা আসেনি। এখন রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধী ব্যাক্তির সন্তান নৌকার প্রার্থী এটি আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারিনা।

হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সভাপতির প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরিত আবেদন থেকে জানা গেছে, জুলহাস সরকারের চাচা হামিদ সরকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও তার পিতা সদস্য ছিলেন। হামিদ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হন এবং তার পিতা জলিল সরকার চাঁদপুর শহরেই থাকতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হাইমচর নিজ বাড়ীতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা যান। আমার জানামতে জলিল সরকার একজন রাজাকার ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিকট হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সভাপতি সন্তুোষ কুমার মজুমদার জুলহাস সরকারের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান।

অভিযোগের বিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী জুলহাস সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমার পিতা ও চাচা রাজাকার ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। তারা কোন রাজনৈতিক দলের সদস্যও ছিলেন না। আমি নিজে গত ১২ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমার বড় ভাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়