প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২১, ২২:২৮
রেহান হত্যা মামলার প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোডে সংঘটিত আলোচিত রেহান উদ্দিন মিজি হত্যা মামলার প্রধান আসামী খোরশেদকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে চাঁদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানান সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খোরশেদ যে রেহান মিজিকে নিজে খুন করেছে সে মর্মে দোষ স্বীকার করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২৩শে জুন বিকেলে চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাকরোড খান বাড়ি সড়কের তামান্না শারমিন ভিলার ৩য় তলার ভাড়াটিয়া রেহান উদ্দিন মিজি (৫৫) নির্মমভাবে খুন হন। ঐ ঘটনায় সদর মডেল থানা পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে মামলা হয়। মামলা নং-৬১/৩৬৮। তাং-২৪/০৬/২০২১।
পুলিশ ক্লুলেস হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী খোরশেদ আলমকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৩০ জুন রাতে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, আসামী খোরশেদ আলমের বাড়ি পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শেফালিপাড়ায়। তার বাবার নাম মৃত মোস্তফা ভূঁইয়া। সে চিহ্নিত জুয়াড়ি। বাড়ি রামগঞ্জ হলেও খোরশেদ (৩৫) চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া সাধন গাজীর মেসে থেকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে জুয়া খেলতো।
নিহত রেহান উদ্দিন মিজির বাড়ি শরীয়তপুর জেলার তারাবুনিয়া চরাঞ্চলে হলেও ড্রেজার ও বালু ব্যবসার সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন থেকে চাঁদপুর শহরেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
আসামী খোরশেদ নিহত রেহানের পূর্ব পরিচিত হবার সুবাদে প্রায় তারা একসাথে তাস খেলতো। রেহানের সাথে জুয়া খেলে একদিন প্রায় ৬০ হাজার টাকা হেরে যায় খোরশেদ। ঘটনার দিন দুপুরে আলাপ-আলোচনায় আবার তারা দুজন তাস খেলার জন্য রেহানের ভাড়া বাড়িতে যায়। সে সময় রেহান মিজির স্ত্রী বাড়িতে ছিলো না। সেখানেও তাস খেলে টাকা হেরে যায় খোরশেদ। এক পর্যায়ে জুয়ায় টাকা হেরে যাওয়ার ক্ষোভ থেকে রেহানকে সে একাই ঘরে থাকা বটিদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং লাশ ফেলে রেখে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে খুনিকে ঘটনার সাতদিনের মাথায় শনাক্ত এবং হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।