বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাঁপাপুর কুমিল্লা কার্যালয় থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই কোম্পানির সকল শ্রেণীর গ্রাহকদের অবগতির জন্যে জানানো হয়েছে যে, বঙ্গোপসাগর বিরাজমান বৈরী আবহাওয়ার কারণে এলএনজি আমদানিতে বিঘ্ন ঘটায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্যে কোম্পানি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ বিজ্ঞপ্তি সকলের কাছে পৌঁছার আগে 'চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাসের চাপ কম' শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয় শীর্ষ সংবাদ। এ সংবাদ সম্বলিত পত্রিকা সকালে পাঠকের হাতে পৌঁছানোর আগেই গ্যাস-গ্রাহকরা ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, চুলায় নিভুনিভু গ্যাস জ্বলছে, আবার মোটেও জ্বলছে না। এমন ঘটনার আকস্মিকতায় সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার নিয়ে পড়েন বিপাকে। এতে চাঁদপুর সহ অন্য সকল জেলায় গ্রাহকরা কম-বেশি ভোগান্তির শিকার হন।

জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে অবস্থিত ভাসমান টার্মিনালে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) জাহাজ থেকে প্রয়োজনমত সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে যায় । ফলে চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

চাঁদপুরে গ্যাস আসে মহেশখালী টার্মিনাল হয়ে কুমিল্লার লাকসামের বিজরা নামক স্থান দিয়ে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাবার ফলে চাঁদপুর জেলার ১ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৫ টি সিএনজি স্টেশনসহ ২০ হাজার গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

আবহাওয়ার বৈরীভাব চলে গেলে ন্যূনতম সময়ে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে প্রকৌ. মীর ফজলে রাব্বী

(ব্যবস্থাপক-বিক্রয়,

চাঁদপুর আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়,

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড ) জানিয়েছেন।