প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২১, ০৭:০২
অধ্যক্ষের মস্তকবিহীন পাঁচ টুকরা লাশ কলেজ মাঠে
সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের (৩৬) মৃতদেহের পাঁচ টুকরা উদ্ধার করেছে র্যাব। সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা একটার দিকে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ মিনারের সামনে দেয়ালের পাশে গর্ত করে মৃতদেহের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণখানে আশকোনার একটি ডোবায় অধ্যক্ষের মরদেহের বাকি অংশের খোঁজে অভিযান চালাবে র্যাব।এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিন্টু বর্মণের মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে র্যাব।র্যাবের কাছে তথ্য ছিলো, মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর মৃতদেহ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। গত ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
|আরো খবর
র্যাব জানায়, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিন্টু বর্মণকে খুন করা হয়। পরিকল্পনা করেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা রবিউল ইসলাম ও মোতালেব। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন রবিউল ও তাঁর ভাগনে রহিম বাদশা। র্যাব তিনজনকেই আটক করেছে। তাঁরা র্যাবের অভিযান দলের সংগে ছিলেন।
আটক তিনজন জানিয়েছেন, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মৃতদেহ ছয় টুকরো করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণ খানের আশকোনা এলাকায় একটি ডোবাতে।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। ২০১৯ সালে মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অন্য তিন সহ প্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তাঁর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না।