শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ১৫:২৫

কোভিড-১৯ ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া!

অনলাইন ডেস্ক
কোভিড-১৯ ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া!

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস 'কোভিড-১৯' মূলত ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া। এমনটাই দাবি করছে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত একাধিক রোগীর ময়না তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য গবেষকরা।

ময়না তদন্তে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস হিসেবে বিদ্যমান নয়, বরং এটি একটি ব্যাকটিরিয়া, যা বিকিরণের সংস্পর্শে এসে রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে। প্রথমে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ওই ব্যক্তির পক্ষে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, কারণ মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, ফলে মানুষ মারা যায় দ্রুত।

শ্বাসযন্ত্রের শক্তির ঘাটতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা হু-এর প্রটোকল মানেননি বরং নিজেরা মৃত কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত করেছেন। চিকিৎসকরা সংক্রমিত মৃত রোগীর হাত-পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশের ব্যবচ্ছেদ করার পরে দেখেছেন, রক্তনালীগুলোতে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, যার জেরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

গবেষণায় সিদ্ধান্ত নিয়েই সিঙ্গাপুর বসে থাকেনি, কোভিড-১৯ - এর চিকিৎসার প্রটোকলে পরিবর্তন এনেছে। পজিটিভ রোগীদের অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ দিতে শুরু করেছে দেশটি। সে দেশের চিকিৎসকরা কোভিড রোগীদের পরীক্ষামূলক ভাবে ১০০ মিলিগ্রাম ইম্রোমাক ওষুধ দিয়ে তার ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। এ চিকিৎসায় রোগীরা সুস্থ এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে শুরু করে।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একদিনে ১৪ হাজারেরও বেশি রোগীকে সারিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পরে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করেছেন, কোভিড-১৯ ধরা পড়লে রক্তনালীগুলোর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা আটকাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং এসপিরিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নিতে হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ’র দরকার পড়বে না। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে চলমান রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, চীন এ বিষয়টি আগে থেকেই জানতো। এ পদ্ধতি অনুসরণ করেই চীন নিজেদের কোভিড-১৯ মুক্ত করেছে। বৈশ্বিক রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে চীন তা প্রকাশ করেনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়