প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ০২:২৩
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা জারি
আন্তর্জাতিকভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বাড়তি সতর্কতা জারি

ঢাকা: সরকার দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় নতুন সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
|আরো খবর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক সার্কুলারে (স্মারক নং- স্বাঃ অধিঃ/প্রঃআই/৬বি৫/৬৫০) এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা ০৪/০৬/২০২৫ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সার্কুলারে জানানো হয়েছে যে, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে ভাইরাস সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট যেমন LFJ, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1 এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এবং অন্যান্য দেশে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। বিমানবন্দরসহ অন্যান্য প্রবেশপথে স্ক্যানিং এবং স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপসমূহ:
- মাস্ক পরিধান: সবসময় প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী মাস্ক পরিধান করতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
- নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার: হাঁচি-কাশির সময় নাক ও মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
- শারীরিক দূরত্ব: অসুস্থ ব্যক্তি থেকে অন্তত ২ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ না করা: অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পয়েন্ট অব এন্ট্রি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষীয়দের জন্য করণীয়:
- সকল বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহকে সর্বদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। হেলথ স্ক্রিনিং এবং স্যানিটেশন জোরদার করতে হবে।
- থার্মাল স্ক্যানার/ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন-টাচ টেকনিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
- চিকিৎসা কাজে নিয়োজিতদের নবায়নযোগ্য পিপিই (PPE) মজুদ রাখতে বলা হয়েছে।
- জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক প্রচার করতে হবে।
- জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সন্দেহভাজন রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়:
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মাস্ক পরুন এবং নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
- রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
- প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর হটলাইন নম্বরে (০৪০১-৬১৮১৯৫০) যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনাগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা থেকে অধ্যাপক ডা. মোঃ ফাহিমুর রশিদ, লাইন ডাইরেক্টর (সি.ডি.সি) কর্তৃক স্বাক্ষরিত হয়েছে। জনসাধারণকে সরকারের এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ