প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৫:৪০
ধানমন্ডি-রামপুরা রিক্সা ভাড়া ৫শ'!
একেতো লকডাউন তার উপর বৃষ্টি। সড়কে নেই ছোট-বড় কোন গণপরিবহণ। মটর সাইকেল রাইডারদের দেখা মিলে ঘণ্টায় দু'একবার। কিছুক্ষণ পর পর হুইসেল বাজিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে রোগী আসছে নতুবা লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স লাশ নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছছে। দৃশ্যটি ঢাকা ধানমন্ডি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের।
|আরো খবর
হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে গন্তব্যে ফেরার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কয়েকজন যাত্রী। কোথাও কোন বাহণ নেই। লকডাউনে সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়া রোগীর অভিভাবকদের গন্তব্যে পৌঁছার শেষ ভরসা ছিলো কেবলই রিক্সা। ধানমন্ডি-১ এ পপুলার হাসপাতালের সামনে থেকে পায়ে হেঁটে সিটি কলেজের সামনে দেখা মিললো ১টি রিক্সার। এই যে ভাই রামপুরা যাবেন প্রশ্ন করতেই মুখ ভেঙ্গচিয়ে বললেন, দূরের ক্ষেপ মারি না। যাইলে ভাড়া বেশি পড়বো।
কত নিবেন জিজ্ঞেস করতেই অর্ধবয়স্ক রিক্সা চালকের জবাব এক দাম ৫ শ'। যদি কন ৪শ' ৯০ টাকা তাও পারুম না।
রিক্সা বিদায় করে আরেকটি রিক্সার দেখা মিললো ১৫ মিনিট পর। তিনি রামপুরা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন তবে তারও দাবী ভাড়া একদাম ৫শ' টাকা।
১শ' টাকার ভাড়া ৫শ' টাকা চান কেন? হাসপাতালের সামনে বিপদে পড়েছি বলেই কি সুযোগ নিচ্ছেন? জানতে চাইলে রিক্সা চালকের উত্তর, আপনাগত্তে না নিলে পুলিশেরে জরিমানা দিমু কইত্তে? আগে চান্দা দিতাম দিনে পঞ্চাশ। এহন লকডাউনে নেয় দুই শ'। আমাগো কি করার আছে। গেলে লন ৫০ টাকা কম দিয়েন। নয়লে যাইগা।
অবশেষে ৪শ' ৫০ টাকা দিয়ে ধানমন্ডি থেকে রামপুরা টেলিভিশন ভবনের সামনে পৌঁছলেন যাত্রী। রিক্সা চালকদের উচ্চ দামে ভাড়া কাটার জন্য দায়ী মূলত কে? যাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চালকদের ইনকাম করার নোংরা মানুষিকতা? নাকি পথে পথে চালকদের নিরব চাঁদাবাজি শিকার?