প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২১, ১৩:৩৩
ঈদে দিন-রাত লঞ্চগুলোতে ছিলো উপচে পড়া ভিড়
ছিলো না স্বাস্থ্যবিধিরি বালাই
প্রিয়জনের সাথে ঈদ কাটিয়ে ঈদের রাতেই চাঁদপুর ছেড়েছেন বহু মানুষ। ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনকে সামনে রেখে বুধবার চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
|আরো খবর
লঞ্চের ভেতরের দৃশ্য দেখে বুঝার উপায় নেই দেশে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। বিশেষ করে লঞ্চের ডেকেতে যে সকল যাত্রীরা বিছানা বিছিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। অধিকাংশের মুখেই নেই মাস্ক। গুটি কয়েকের কাছে মাস্ক থাকলেও তা দুই কান স্পর্শ করে গলায় ঝুলতে দেখা গেছে।
লঞ্চের প্রবেশ পথে রাখা হচ্ছে না কোন জীবানু প্রতিরোধক ব্যবস্থা। অর্ধেক যাত্রী পরিবহণ আর সামাজিক দূরুত্ব ছিলো কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। লঞ্চের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে সিগারেট ফুঁকা তরুণদের তাস খেলার উৎসব চললেও তাতে বাধা দেয়নি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
লঞ্চ চলাচলের শুধু একটি শর্তই মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে। তা হলো বর্ধিত ভাড়া। সকল যাত্রী তা নিরবে সহ্য করে গেলেও চাঁদপুর শহারাস্তি থেকে মিতালী-৭ লঞ্চে ঢাকামুখী যাত্রী আবুল হোসেন বর্ধিত ভাড়া নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে ভুলেননি। টিকেট ম্যানকে প্রতিবাদের স্বরে বললেন, সব কিছুইতো তোমাগো ঠিক ঠিক চলে। তয়লে ভাড়া বেশি নাও ক্যা? বিরক্তির স্বরে টিকেট ম্যানের জবাব, এত মানুষ যাচ্ছে কারো কোন সমস্যা নাই। আপনারনি খালি সমস্যা? টাকা না থাকলে লঞ্চে উঠলেন কেন? হেঁটে যেতে পারলেন না?
ঈদের রাতে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে বা ভোরে ঢাকা সদরঘাটে কোথাও পুলিশ সদস্যদের মনিটরিং লক্ষ্য করা যায়নি। জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বা বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃপক্ষের কেউ হস্তক্ষেপ না করলে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে আজ সারাদিনও চলবে এমন অনিয়ম।