রবিবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৭:১৮

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ

১ মে থেকে নদীতে মাছ ধরবে জেলেরা

অনলাইন ডেস্ক
১ মে থেকে নদীতে মাছ ধরবে জেলেরা

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল ওই দুই মাসের জন্য সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রোববার থেকে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ শিকারসহ নদীর অন্যান্য মাছও ধরবেন। শনিবার মধ্যরাত থেকেই চাঁদপুর, হাইমচর, মতলব ও পার্শ্ববর্তী শরিয়তপুরের জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঈদের একদিন আগে

নদীতে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলে পল্লীগুলোতে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। মাছঘাটগুলোতে জেলে, মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে।

সাখুয়া, বহরিয়া, হরিনা, গোবিন্দিয়া আখনেরহাট এলাকার জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তাঁরা। নৌকা মেরামত, জাল বোনা ও ছেঁড়া জাল ঠিকঠাক করে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় গত দুই মাস ধারদেনা করে সংসার চলেছে। নদীতে মাছ ধরা পড়লে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নদীতে মাছ ধরতে যাবেন তারা। তবে, অভিযান শেষে নদীতে মাছ থাকে না বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সব প্রজাতির মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলেরা চার কিস্তি পাবেন ভিজিএফের চাল। অভিযান শুরু সাথে সাথে জেলেরা দুই কিস্তির চাল পেয়ে গেছেন। এখন বাকি দুই কিস্তি চাউলের ডিও চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ইউনিয়নে জেলের জাটকা কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাটকা সংরক্ষণে প্রায় দুই মাস চাঁদপুর, ভোলা, লক্ষীপুরসহ দেশের ৫টি স্থানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিলো। এবারের নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে কার্যকর হওয়ায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরো জানান, নিষিদ্ধ সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে গত দুই মাসে ১৫২ জন জেলের জেল এবং ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনাব উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে ৬০৯টি আর মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয় ৯০টি। মামলা হয়েছে ১৫৪টি। ১ কোটি ৫ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং ১১৬টি অন্যান্য জাল জব্দ করার পর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।জব্দ নৌকা নিলামে বিক্রি হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। আজ ১ মে রোববার থেকে জেলেরা নদীতে সব প্রজাতির মাছ শিকার করতে পারবে। তবে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার করা যাবে না। জাটকা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাটকা ইলিশ রক্ষার জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের হাইমচর থেকে মতলব ষাটনল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ ছাড়া এ সময় নদীতে মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ ছিল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়