প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১২:৩২
পুলিশ ভয়ে নদীতে ঝাঁপ, লাশ উদ্ধার
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ৫নং খেয়াঘাটে পুলিশের তাড়ায় ডাকাতিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন রুবেল (১৯) নামের এক অটো চালক।
|আরো খবর
৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কয়লাঘাটের স্থানীয় একটি ডকইয়ার্ডের কাছে নদী থেকে ওই অটোচালকের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
৪ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিঁখোজ রুবেল স্থানীয় ম্যারকাটিজ রোডস্থ শহীদ হাওলাদার বাড়ির ভাড়াটিয়া রিক্সাচালক হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। রাতভর স্বজনরা কয়লাঘাটসহ আশপাশের এলাকা খোঁজ করেও রুবেলের সন্ধান পায়নি।
ঘটনাটি চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অবগত করলে মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। একঘন্টা চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রুবেলের মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের সিনিঃ স্টেশন অফিসার এমরান হোসেন ।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসান জানায়, কাজ শেষে তারা দুই বন্ধু ডাকাতিয়া নদীর ৫নং খেয়া ঘাটের সিঁড়িতে বসে রুবেল ও হাসান মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ক’ জন সদস্য নদীপাড়ের ওই এলাকায় মাদক সেবনকারীদের ধরার জন্য টহল দিচ্ছিল। দুই জনকে দেখে পুলিশ টর্চলাইট মারলে তারা ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঘটনার পর হাসান পাইওনিয়র ঘাট দিয়ে সাঁতরে উপরে উঠে আসলেও রুবেলকে আর পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ রুবেলের বাবা হুমায়ুন মিয়া জানান, তার ছেলে অটো চালায়। ঘটনার দিন রাত সাড়ে আটটার সময় তিনি দেখেছিলেন তার ছেলে এলাকার হাসানের সাথে বাড়ির সামনের রাস্তায় ভ্যান গাড়িতে বসা ছিল। হাসান তার ছেলেকে নিয়ে নদীরপাড় কখন যে গেছে, সেটা তিনি জানতেন না।
পরে ছোট মেয়ের মোবাইল ফোনে জানতে পায়, তার ছেলে রুবেল পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিঁখোজ রয়েছে। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মাদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘পুলিশ ওই সময় নদীরপাড় এলাকায় মাদকের অভিযানে গিয়েছিল। এ সময় তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।