প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৪
ইয়াবা ক্রয় করতে ফোন করা ব্যবসায়ীকে, রিসিভ করেন মেয়ে, অতঃপর.....

২৫ বছরের টগবগে সুদর্শন যুবক জয় কুড়ি। মা-বাবার অবাধ্য হয়ে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে বন্ধুদের নিয়ে মাদক (ইয়াবা) সেবনে মেতে থাকতো । অপরদিকে সুন্দরী তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করতো। গত তিন মাস আগে রাতে ইয়াবা ক্রয়ের জন্যে ফোন করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে ভাড়াটিয়া মনির হোসেনকে (৫০)। কিন্তু ফোন রিসিভ করেন মনিরের তরুণী মেয়ে (১৪)। সেই সূত্র ধরেই জয় কুড়ি ওই তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ধর্ষণ করে।
|আরো খবর
এ ঘটনায় ধর্ষক জয় কুড়িকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে রায়পুর শহরের ওসমান চত্বরে বিপ্লবী জনতার ব্যানারে পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলের ছাত্রী ও শতাধিক যুবকের অংশগ্রহণে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে রায়পুর উপজেলা ধর্ষণ প্রতিরোধ মঞ্চ। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রতিরোধ মঞ্চের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হামিদ ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন রিয়াজ, সদস্য সচিব শাহিন আলম মাহবুব, যুগ্ম সদস্য সচিব আশিকুর রহমান, কাজল রেখা, মেহেদী হাসান তামিম, এরশাদ মৌশুমি, মুখ্য সংগঠক সিফাত রহমান প্রমুখ।
জয় কুড়ি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় তরুণীকে তাদের বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় কক্সবাজার। সেখানে তরুণীকে ৩দিন রাখার পর লক্ষ্মীপুর শহরে একটি বাসায় ৪দিন রাখে। ৩০ আগস্ট ওই বাসায় তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কপালে জয়কুড়ি সিঁধুর পরাতে গেলে তখনই বিপত্তি ঘটে। এ সময় তরুণী বুঝতে পারেন জয় কুড়ি হিন্দু। এ সময় চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে তুলে আবার রায়পুর শহরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ফেলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই। ওই তরুণী ডাক্তারের পরামর্শে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্টষ) লক্ষ্মীপুর আদালতে ধর্ষণ মামলা হলে তা রেকর্ড করেন রায়পুর থানা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জয় কুড়িসহ তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।
রায়পুর থানায় এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিল্টন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয় কুড়িকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায় , গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসার সামনে থেকে তরুণীর মুখে রুমাল চেপে মাইক্রোতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে সাতদিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন শহরের পুর্বলাচ গ্রামের কামাল ভুইয়া সড়কের হনার বাড়ির স্বর্ণ ব্যাবসায়ী অনন্ত কুড়ীর ছেলে জয় কুড়িসহ ৩-৪ জন ব্যক্তি। এ ঘটনায় জয় কুড়ীর খোঁজে তাদের বাড়িতে গেলে তার পিতা ও মাতা খারাপ আচরণ করে।
পুর্বলাচ এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত জয় কুড়ি তার বাবার সাথে শহরে স্বর্ণ ব্যবসায় সহযোগিতা করে। দোকানে যে কোন সুন্দরী তরুণী আসলে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের সর্বনাশ করে। এই মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সবর্নাশ করে দিলো।