প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১৮:৫১
হাজীগঞ্জে গ্রাম পুলিশের ঘরে মিললো ২০ বস্তা সরকারি চাল

হাজীগঞ্জে গ্রাম পুলিশের বসতঘরে মিলেছে ২০ বস্তা সরকারি চাল। এ ঘটনায় স্বপন সাহা নামের অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন ২০২৫) উপজেলার ৬ নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের বসতঘরে স্থানীয়রা এ চাউলের বস্তার সন্ধান পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো ২০ বস্তা মানে ১ হাজার কেজি চাল জব্দ করেন।
|আরো খবর
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, গত কয়েকদিন ধরে স্বপন সাহা নিজ ঘরে রেখে স্থানীয় লোকজনের কাছে সরকারি চাল বিক্রি করে আসছেন। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন বুধবার সকালে তার বসতঘরে গিয়ে সরকারি চালের বস্তা দেখতে পায়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের খবর দেয়া হয়।
এদিকে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন খবর পেয়ে ঐ বাড়িতে গিয়ে স্বপন সাহার বসতঘরের ভেতর থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৯ বস্তা, ৩০ কেজি ওজনের ৫ বস্তা ও চাউলের ১২টি খালি বস্তা দেখতে পান। এ সময় ৬ বস্তা চাল বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন স্বপন সাহা নিজে।
ঘটনাস্থলে স্বপন সাহা জানান, ভিজিএফের চালগুলো আমি মানুষের কাছ থেকে কিনে রেখেছি। এখন আবার বিক্রি করে দিচ্ছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপলক্ষে ২ হাজার ১২৮ টি ভিজিএফের কার্ড আসে। ১৬৮ কার্ডে ১৫০ কেজি করে দেওয়ার কথা রয়েছে। যা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, রশিদ মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ স্বপন সাহা বিতরণ করেন। আমি স্বপনের সাথে কথা বললে সে জানায়, আতপ চালের কারণে অনেকে খেতে চায় না। তাই আমার কাছে বিক্রি করে দিছে। আর এ চালগুলো সে কিনেছে। এখন ইউএনও স্যারের নির্দেশে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে, যে জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, চাল জব্দসহ অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের সদস্য স্বপন সাহাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।