প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১৩
নারায়ণ ঘোষ হত্যার ঘাতক রাজু কী আটক?
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর শহরের দধি ও মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী নারায়ণ ঘোষকে নির্মমভাবে হত্যাকারী বিপনীবাগ বাজারের টিপটপ সেলুন কর্মচারী ঘাতক রাজুকে সিআইডি পুলিশ আটক করেছে! এমন গুঞ্জন ১৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল থেকেই শহর জুড়ে শোনা যায়।
|আরো খবর
বিপণীবাগ বাজারের নাইটগার্ড ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী ঘাতক রাজু ঘটনা ঘটিয়ে বস্তায় করে নিহত নারায়ণ ঘোষকে মার্কেটের পাশে পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। সেলুন থেকে বের হয়ে ঘাতক রাজু শহরের গুয়াখোলাস্থ ভাড়া বাসায় যাওয়ার পথে নিহত নারায়ণ ঘোষের ছেলের সাথে ঘোষপাড়া ব্রীজের উপর দেখা হলে নিহতের ছেলে রাজীব ঘোষ রাজুকে ঘাতক রাজু প্রশ্ন করে বলে, রাজু আংকেলকে পাইছেন, না কী?
এই বলে সে চাঁদপুর শহর থেকে পালিয়ে যায়। এরপর লাশ উদ্ধার, সনাক্ত, মামলা সব কিছুই হয়। কিন্তু ঘাতক রাজুকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিন রাতে নিহত নারায়ণ ঘোষের ছোটছেলে রাজীব ঘোষ রাজু বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় রাজুকে একমাত্র আসামী করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় মডেল থানার ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স এন্ড অপারেশন মোঃ এনামুল হককে।
অপরদিকে ঘটনার পর থেকেই চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল ঊধ্বতন কর্মকর্তাগণ একই কথা বলে আসছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সক্ষম হবেন।
শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম বারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের কয়েকটি বিভাগ এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে কাজ করেন। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম বার সমন্বয় করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স এন্ড অপারেশন মোঃ এনামুল হক, বরাবরই মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে বলতেন, একটু সময় দেন। আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সুখবর দিবো।
তবে ১৯ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় আবারো কথা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, সামান্য সময় অপেক্ষা করুন। আমরা আপনাদের ডেকে জানাবো।
যদিও পুলিশ বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে, কিন্তু বিশ^স্ত সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশের একটি সংস্থা ঘাতক রাজুকে গতকাল দুপুরে আটক করেছে। সে চাঁদপুর জেলা পুলিশের কোনো একটি সংস্থার অধীনে রয়েছে। কিন্তু কোথায় থেকে, কিভাবে আটক হলো সে বিষয়ে সূত্রটি কথা বলতে রাজী হননি।সূত্রে জানা যায়, ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলা পুলিশের ঊধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে কথা বলা হবে। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়টি এখনো স্বীকার করেননি। তারা বলছেন, সামান্য সময়ের মধ্যেই কথা হবে।া