প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ২১:২০
একজনকে কুপিয়ে জখম, ঢাকায় প্রেরণ
চাঁদপুর শহরে ছাত্রদলের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

চাঁদপুর শহরে জোড়পুকুর পাড় থেকে জেএম সেনগুপ্ত সড়কে শনিবার (১ মার্চ ২০২৫) বিকেলে ছাত্রদলের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়।
এ সময় মার্কেট ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এই মারামারিতে কিশোর গ্যাংও ঢুকে পড়ে।
ছাত্রদলের এক গ্রুপের কর্মী ভেবে নিরীহ একজনকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঢাকা হাসপাতালে রেফার করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১ মার্চ ২০২৫) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বেগম মসজিদের কাছে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে দুপক্ষ হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মারামারিতে লিপ্তদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ বিষয়ে ওসি বাহার মিয়া জানান, দলীয়ভাবে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এদের মারামারির মধ্যে পড়ে একজন আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছি। আটকদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই চলছে।
জানা গেছে, শনিবার দুপুর থেকে শহরের মুনিরা ভবনে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের আওতাধীন সকল কলেজ ও মাদ্রাসা ইউনিটের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে
ফরম বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন কার্যক্রম চলছিল। জেলা ছাত্রদল আয়োজিত এই প্রোগ্রামে কয়েকজনের সাথে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে রাস্তায় দুই পক্ষ দুই দিকে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল ও মাহমুদুল হাসান।
কর্মী সম্মেলন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও
ছাত্রদলের স্থানীয় গ্রুপিং রাজনীতির ফলে দুপক্ষ রাস্তায় এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় সদর থানা ছাত্রদলের একজন নেতাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।