প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২
র্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, মাইক্রোবাসসহ ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার
রাজধানীর রমনার কাকরাইল মোড়ে র্যাব পরিচয়ে সংঘটিত দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা মডেল থানা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—মো. সাজ্জাদ হোসেন (৩৫), মো. কবির হোসেন (৫০), মো. শরিফ (২৫), মো. মনির হোসেন (৪০) ও মো. হাবিবুর খন্দকার (৩৮)। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস এবং আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
|আরো খবর
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ঘটনার বিবরণ
ডেমরার একটি কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম (৩৮) গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে তাঁতিবাজার থেকে ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। কাকরাইল মোড়ে প্রচেষ্টা বাসটি ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে, ১০-১২ জন ব্যক্তি র্যাব পরিচয়ে বাসে উঠে। তাদের একজন 'র্যাব' লেখা জ্যাকেট পরা ছিল এবং তার কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেট ছিল।
তারা যাত্রীদের জানায়, বাসে একজন মামলার আসামি রয়েছে। এরপর সাইফুল ইসলামকে ধরে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তোলে এবং মারধর করে। তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে চোখ বেঁধে ডেমরার একটি রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ ডিসেম্বর রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার ও উদ্ধার
তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ডিসেম্বর সকালে ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ এবং চালক মো. কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বংশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদ, শরিফ, মনির ও হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি করে। তাদের এই দলের সদস্য সংখ্যা ১০-১২ জন। প্রতিটি ডাকাতি শেষে লুণ্ঠিত অর্থ ভাগাভাগি করে নেয় তারা।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাকাত দলের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।