মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০৬

ফরিদগঞ্জে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

শামীম হাসান
ফরিদগঞ্জে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
ক্যাপশন : দলিল লেখক আব্দুল করিম পাটওয়ারী

দলিলের তফসিল সম্বলিত পাতা পরিবর্তন করে খারিজ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের আব্দুল করিম পাটওয়ারী নামে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্টে মামলা (সিআর মামলা নং- ৪৯৩/২৪ )দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম । এদিকে ঘটনার বিষয়ে দলিল লেখকের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন এবং একজন সাংবাদিকের মুঠোফোন

ছিনিয়ে নেন।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবড়ালী মৌজার বাসিন্দা

নুরুল ইসলাম গত ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি তার ছেলে হাসান ইসলামকে সংশ্লিষ্ট মৌজার বিএস ৩২০৬ দাগে ৬ শতক এবং ৩২২৭ দাগে ৫ শতক ৩০ পয়েন্ট অর্থাৎ মোট ১১ শতক ৩০ পয়েন্ট জায়গা হেবা (দলিল নং ৫৯৫) ঘোষণা করে দেন। যার দলিল লেখক ছিলেন আব্দুল করিম পাটওয়ারী (সনদ নং-৮৯)। এরপর একই বছরের ১৬ জুলাই দলিল গ্রহীতা হাসান ইসলামের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর জমি খারিজের আবেদন করেন আব্দুল করিম পাটওয়ারী। কিন্তু আব্দুল করিম পাটওয়ারী জালিয়াতি করে আবেদনে ৩২০৬ এবং ৩২২৭ দাগের পরিবর্তে ৩৬৬৩ দাগেই ১১ শতক ৩০ পয়েন্ট জায়গা খারিজের আবেদন করেন। এ সময় তিনি দলিলের সার্টিফাইড কপির তফসিল সংক্রান্ত পাতা কক১৭৫০৭৮৩-এর পরবর্তে অবৈধভাবে ড১৬৫১২৭৩৫ পাতাটি সংযুক্ত করেন এবং তাতে তফসিল পরিবর্তন করে দেন। এমনকি তিনি খারিজ আবেদনের ৪টি স্থানে নিজের মুঠোফোন নাম্বার জুড়ে

দেন। পরিবর্তিত তফসিল অনুসারেই খারিজও করিয়ে নেন। খারিজ নং ১৯৫ এবং খারিজ মামলা নং ৩৮৪(lX-l)/২০২৩-২৪।

ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম জমির খাজনা দিতে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি টের পান। পরে যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শেষে চলতি বছরের ১১ আগস্ট ছেলে হাসান ইসলাম ও দলিল লেখক আব্দুল করিমকে বিবাদী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট চাঁদপুরে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, আমার দলিলটির লেখক ছিলেন আব্দুল করিম।

খারিজটিও তার মাধ্যমেই হয়েছে। সে দলিলের সার্টিফাইড কপির পাতা পরিবর্তন করে তফসিল পরিবর্তন করেছে। আবার দলিলের পরিবর্তিত পাতায় আমার স্বাক্ষরও বসিয়েছে। আমি আমার ছেলে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি এবং তার সনদ বাতিলের দাবি করছি।

নুরুল ইসলামের ছেলে হাসান ইসলাম জানান, আমি জমি খারিজের জন্যে দলিল লেখক আব্দুল করিমকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনিই সকল কাজ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে দলিল লেখক আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা শত শত মানুষের খারিজ করি। হাসান ইসলাম কাগজপত্র সব সংগ্রহ করে খারিজের জন্যে আমাকে দিয়েছেন। আমি খারিজ করে দিয়েছি।

এদিকে দলিল লেখকের বক্তব্য নেয়ার সময় তিনি হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। এ সময় তিনি এক সংবাদিকের মুঠো ফোন ছিনিয়ে নেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতি বরাবর তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. আরিফ হোসেন জানান, রেকর্ড অনুসারে দলিলে কোনো অনিয়ম নেই। যা হয়েছে তার দায়দায়িত্ব দলিল লেখক ও দলিল গ্রহীতার। সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়