প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৩
দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত ফরিদগঞ্জের স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া
দুর্নীতির দায়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে জিয়াউর রহমান জিয়াকে।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা স্কাউটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চলতি বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পূর্বের কয়েকদিন ঈদে ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তি লাঘবে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা স্কাউটস ও রোভার সদস্যদের ইফতার, নাস্তা ও দুপুরের খাবারের টাকা আত্মসাৎ ও অসংখ্য ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের পদ থেকে জিয়াউর রহমান জিয়াকে বহিষ্কার করে তার স্থলে সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে
সাবেক স্কাউট সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটওয়ারীকে ৷ তিনি
এই প্রতিবেদককে জানান, আমি ১৯৯৮ সাল থেকে স্কাউটিংয়ের সাথে যুক্ত আছি। এর আগে ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উপজেলা স্কাউট সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি৷ আমাকে যেহেতু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনগুলোতে সকলের সহযোগিতা নিয়ে স্কাউটিংয়ের যাবতীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলা স্কাউটিংকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করবো৷
দুর্নীতির অভিযোগ তোলা রেদওয়ান খাঁন জানান, ব্যক্তি বিশেষ নয় বরং আমাদের স্কাউট ও রোভার সদস্যদের লড়াই ছিলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আলহামদুলিল্লাহ সত্যের জয়ের মধ্য দিয়ে কলঙ্কমুক্ত হলো উপজেলা স্কাউট। আমরা সকল স্কাউট ও রোভার সদস্যরা বিশ্বাস করি, এরপর আর কেউ স্কাউটিংকে পুঁজি করে দুর্নীতি করার দুঃসাহস করবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজকের বিচার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। ফের উপজেলা স্কাউটিংকে পুঁজি করে কেউ যদি অনিয়ম ও দুর্নীতি করার চেষ্টা করে, আমরা যে কোনো মূল্যে তাকে প্রতিহত করবো ইনশাআল্লাহ। স্কাউটিংয়ে দুর্নীতির বিষয়ে কখনো ছাড় দেয়া হবে না।
এর আগে দুর্নীতিবাজ এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল- ভাউচার তৈরি করে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্কাউট সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে এবং তদন্তপূর্বক তাকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্বর সম্মুখে মানববন্ধন করে রোভার ও স্কাউট সদস্যরা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের তদন্ত টিম ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগকারী মো. রেদোয়ান খাঁন গং এবং অভিযুক্ত উপজেলা স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমানকে তলব করে। তলবের দিন দুই ঈদে আত্মসাৎকৃত টাকার হিসেব চাওয়া হলে উপজেলা স্কাউট সম্পাদক তার হিসেব দিতে পারেননি এবং তার তৈরিকৃত অসংখ্য বিল-ভাউচারে উল্লেখিত ব্যয়ের যৌক্তিক ও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।