শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ১৬:০৫

হাজীগঞ্জে মিতু হত্যা মামলায় আসামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক
হাজীগঞ্জে মিতু হত্যা মামলায় আসামীর মৃত্যুদণ্ড

হাজীগঞ্জে আলোচিত মিতু আক্তার (২১) হত্যা মামলার আসামি মোঃ হযরত আলী (৩০)কে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ মে) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২)-এর বিচারক সাহেদুল করিম এই রায় দেন। আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়।

হত্যার শিকার মিতু আক্তার হাজীগঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ হযরত আলী একই উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মিতু আক্তারের সাথে ২০১৩ সালে আসামি হযরত আলীর মোবাইলে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই বছরই তারা উভয়ে নিজ ইচ্ছায় হাজীগঞ্জে কাজী অফিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর শ^শুরালয়ে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন মিতু আক্তার। যার ফলে ২০১৬ সালের ২৫ জুন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে মিতু ও হযরত আলীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরই মধ্যে হযরত আলী প্রবাসে চলে যায় এবং মিতুর সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখে। ২০১৭ সালের জুন মাসে হযরত আলী আবার দেশে ফিরে আসে। ২৩ জুলাই হযরত আলী মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে ঘুরতে যায়। ঘোরাঘুরি শেষে মিতুকে তাদের বাড়িতে দিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই হযরত আলী ও তার বন্ধুরা মিতুদের বাড়িতে খেতে আসবে বলে। রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে হযরত আলী মিতুকে বন্ধুদের তাদের বাড়ির সামনে থেকে এগিয়ে নিতে বলে। মিতু এগিয়ে আনতে গিয়েই হত্যার শিকার হন। তার মা রাবেয়া বেগম মেয়ে ঘরে ফিরে আসছে না দেখে এগিয়ে গিয়ে স্থানীয় আবদুর রহমানের ঘরের দক্ষিণে পুকুর পাড়ে মিতুর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। তখন তিনি ডাকচিৎকার করেন এবং লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মিতুর মা রাবেয়া বেগম পরদিন ২৪ জুলাই হযরত আলীকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামি হযরত আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলাটি থানা পুলিশ আমলে নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয় হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জসিম উদ্দিনকে। তিনি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, মামলাটি প্রায় ৭ বছর চলাকালীন আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামীর অপরাধ স্বীকার এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ সেলিম আকবর ও অ্যাডঃ ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়