শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হাবিব হত্যার ঘটনায় আদালতে ঘাতক রুবেলের স্বীকারোক্তি

পরিচয় ঢাকতে খড় দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হাবিবের

পরিচয় ঢাকতে খড় দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হাবিবের
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

শিউলী আক্তার নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে একাধিক পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে নাইলনের রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশের পরিচয় ঢাকতে তার মুখমণ্ডলটি খড় দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পর লাশটি ফেলে দেয়া হয় বিলের পানিতে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর হাবিব মৃধা হত্যাকা-ের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মোঃ রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে গিয়ে এসব তথ্য জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন। তিনি জানান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে পরকীয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে রুবেল স্বীকার করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বুধবার বিকেলে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান চৌধুরীর আদালতে হাবিব মৃধা হত্যায় জড়িত প্রধান আসামী মোঃ রুবেলকে হাজির করা হয়। এ সময় সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও হত্যার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এর আগে থানা পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য দিয়েছে, তার সবটুকুই আদালতের কাছে স্বীকার করে সে।

তিনি জানান, আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে ঘাতক রুবেল সাবলীলভাবেই জানায় যে, গৃহবধূ শিউল আক্তারের সাথে ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে সেসহ অন্যরা হাবিব মৃধাকে নাইলনের রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হাবিবকে যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্যে খড় দিয়ে তার লাশের মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরে হাবিবের নিথর দেহ ঘটনাস্থলের পাশের গুপ্তের বিলে ফেলে দেয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হাবিব হত্যার ঘাতক মোঃ রুবেলের আদালতে স্বীকারোক্তি মোতাবেক গৃহবধূ শিউলী আক্তারের বাড়ির অদূরে সরকারি খালে স্থানীয় ডুবুরি দিয়ে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নাইলনের রশিটি উদ্ধার করে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, মামলায় সংশ্লিষ্ট অন্যদের আটকের জন্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, ঘাতক রুবেল ২০১৪ সালে জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণেও আসামী।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় (৮ আগস্ট) ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্তের বিল থেকে হাবিব মৃধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত হাবিবের বড় বোন রোকেয়া বেগম জানান, গত ৪ আগস্ট বুধবার দুপুরে হাবিব মৃধা মুঠোফোনে কল পেয়ে চাঁদপুরস্থ তার আরেক বোন মরিয়মের বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরে বাড়ি থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরের গুপ্তের বিলে লাশ পাওয়ার সংবাদ শুনে এসে তিনি ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরে দুদিন পর নিহতের ভাই আকরাম হোসেন বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়