প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০০
ঝগড়ায় প্রতিবেশির এ কেমন নিষ্ঠেুরতা
গরম পানি নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয়া হয়েছে গৃহবধূর শরীর

জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়ায় মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত গরম পানি নিক্ষেপ করে জ্বলছে দেয়া হয়েছে সীমা ঘোষ(৩৫) নামে এক গৃহবধুর শরীর। নিষ্ঠুরতার এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ এপ্রিল সোমবার সকালে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার লোহারপুল ঘোষপাড়ায়।ঝলসানো সেই ক্ষত নিয়ে যন্ত্রণায় শয্যাশায়ী অসহায় গৃহবধূ। আহত সীমা ঘোষ ওই এলাকার নির্মাণ শ্রমিক অধির ঘোষের স্ত্রী।
|আরো খবর
আহত সীমা ঘোষ ও পাড়া-প্রতিবেশীরা জানায়, পাশের বাড়ির প্রতিবেশী দিলীপ সূত্রদের সাথে অধীর ঘোষের বসতঘরের অল্প কিছু জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরত চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের উভয় পক্ষের অনেক ঝগড়াঝাটি হতো। ঘটনার দিন সকালে অধির ঘোষ বাহিরে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দিলীপ সূত্রধর, অধীর ঘোষের সাথে বিভিন্ন কথা উঠিয়ে ঝগড়া জড়িয়ে পড়েন। আর এই ঝগড়া কে কেন্দ্র করে ও অধির ঘোষ তার বসত ঘরে ফিরে আসেন ধীরে ধীরে তাদের ঝগড়া বড় হতে থাকে। ঝগড়া লিপ্ত হন দীলিপ সূত্রধরের স্ত্রী স্মৃতি সূত্রধর তার ছেলে লিমন সূত্রধর সহ পরিবারের লোকজন।
ঝগড়ার এক পর্যায় অধীর ঘোষের ঘরের জানালা দিয়ে বাহির থেকে দিলীপ সূত্রধরের স্ত্রী গরম পানি জাতীয় কিছু একটা ছুড়ে মারে।সেই গরম পানি অধির ঘোষের স্ত্রী সীমা ঘোষের স্তন সহ বুকের অংশবিশেষে গিয়ে লেগে ঝলসে যায়।
এতে ধীরে ধীরে তার বুক ও স্পর্শকাতর স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ঠোস পড়তে থাকে। যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন সীমা ঘোষ। পরে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় এবং এই ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সীমা ঘোষের উপর এমন নিষ্ঠুর আচরণ এবং অসহায়ত্বের কথা শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে তাঁর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সর্বশেষ গতকাল ২৯ এপ্রিল তাকে পুনরায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ড্রেসিং করানো হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা নেওয়ার কথা রয়েছে।
এ ঘটনায় দিলীপ সূত্রধর ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঘোষপাড়া মহল্লাবাসী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এই বিষয়ে দিলীপ সূত্রধরের সাথে কথা হলে তিনি অস্বীকার করে তার পরিবারের কেউ এ ঘটনা ঘটায়নি বলে দাবি করেন। জায়গা নিয়ে বিরোধ এবং ঐদিন কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মালেক শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমিও এমন ঘটনা শুনেছি। তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমিও চাই আইনি প্রক্রিয়ায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অফিসার ইনচার্জ) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এমন ঘটনার বিষয় আমরা অবগত হয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।