প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:১১
চাঁদপুর মেঘনায় ট্রলারে ডাকাতি
লুটের ৪০ ড্রাম ভোজ্য তেল ও ১৩৬ বস্তা চিনি উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ইসলামিয়া পরিবহন নামে একটি পণ্যবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায়
|আরো খবর
সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল ট্রলারে আক্রমণ করে মাঝি-মাল্লাদের বেঁধে
মিল থেকে ব্যবসায়ীদের কেনা ডিওর ৬৪০ বস্তা চিনি ও ৩৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল লুট করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার এবং বিক্রি করে দেয়।
দুর্ধর্ষ এ ডাকাতির ঘটনায় মামলা হলে ৪০ ড্রাম ভোজ্য তেল দাউদকান্দির আশিষ ভান্ডার থেকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। এছাড়া ১৩৬ বস্তা চিনি চাঁদপুর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানুদি গোলাপ পাটোয়ারীর গোডাউন থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
১৪ এপ্রিল শুক্রবার ভোরে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে এএসআই হেলাল সঙ্গীও ফোর্স অভিযান চালিয়ে চোরাই চিনি গুলো উদ্ধার করে মডেল থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায় নারায়ধগঞ্জ রুপগঞ্জ থানার রূপসী সিটি মিল থেকে ইসলামিয়া পরিবহন নামে ট্রলারটিতে চিনি ২৫৬০, ময়দা ৭২০, সয়াবিন ও পামওয়েল ৬৪৫ ড্রাম তেল খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে মতলব উত্তর ষাটনল এলাকায় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মালবাহী ট্রলারটি দাউদকান্দি এলাকায় নিয়ে ৩৬০ ড্রাম তেল নামিয়ে নিয়ে যায় । পরবর্তীতে সেই ট্রলার সেখান থেকে চাঁদপুর সদর উপজেলার কানুদি এলাকায় এনে ৬৪০ বস্তা চিনি নামিয়ে রাখে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ট্রলার মালিক বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানুদী আজিজ বেপারীর ছেলে কাদের বেপারী, শরীয়তপুর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের নাসির আখন্দের ছেলে আলমগীর আখন্দ ও কানুদি মিয়ার বাজারের গোলাপ পাটোয়ারী যৌথভাবে ট্রলার থেকে চিনি পাচার করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। ট্রলার মালিক ও অন্যরা গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে ট্রলার ডাকাতির নাটক সাজিয়ে চিনি ও তেলগুলো সরিয়ে ফেলে।
এছাড়া ট্রলারে থাকা অবশিষ্ট চিনি তেল ও ময়দা নিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এই ঘটনায় মালের মালিক ইলিয়াস মতলব ও চাঁদপুরের পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ট্রলার মালিক কাদির বেপারী, আলমগীর আখন্দ ও গোলাপ পাটোয়ারী পলাতক রয়েছে।
তাদেরকে আটক করলেই প্রকৃত ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এদিকে, চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ কানুদী বাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে কাদের বেপারীর নিজ বাড়ি থেকে ১৮ বস্তাসহ ১৩৬ বস্তা চিনি গোলাপ পাটোয়ারীর নিজস্ব গোডাউন থেকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগের এক ঘটনায় মতলব মোহনপুর মেঘনা নদী এলাকায় কার্গো জাহাজ থেকে আকিজ গ্রুপের চিনির একটি বড় চালান ডাকাতি হয়েছে মর্মে খোয়া যায়। সেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং নদীপথে বিভিন্ন পণ্যে পরিবহণের চোরাচালান নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।