শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১৯:০৬

পাওনা টাকা চাওয়ায় খুন

বাশার হত্যার প্রধান আসামী ছালেহ মুসা গ্রেফতার

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন/মেহেদী হাসান
বাশার হত্যার প্রধান আসামী ছালেহ মুসা গ্রেফতার

কচুয়ায় পৌর বাজারের ইকরা ভ্যারাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধীকারী আবুল বাশার (৩৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছালেহ মুসাকে (২০) গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মুসা কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে ।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানায়, গত রোববার রাতে কচুয়া থানা পুলিশ ছালেহ মুসাকে পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার আলেখারচর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসে। পরে গতকাল সোমবার চাঁদপুরের কচুয়া আমলী আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করার মধ্য দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ছালেহ মুসা আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আবুল বাশারকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায় জানান, এটি একটি নৃশংস ঘটনা। ব্যবসায়ী বাশার ও ছালেহ মুসার মধ্যে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা ছিলো। দুপুরের দিকে বাশারকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে লাশ ফেলে রাখে বলে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে জানায় ছালেহ মুসা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে আবুল বাশার দোকানে আসার জন্য নিজ বাড়ি কচুয়া পৌরসভাধীন কোয়া চাঁদপুর হাজী বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত সে দোকানে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। রাত ১০টার দিকে তার নিখোঁজের বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে শনিবার রাত ৩টার দিকে কচুয়া বিশ^রোডে অবস্থিত মুসার মাছের আড়তে আবুল বাশারের রক্তভেজা লুঙ্গি, গামছা ও একটি বিছানার চাদরসহ দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন দেখতে পায়। পরে কচুয়া থানা পুলিশ রবিবার বিকেল ৩টার দিকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর গ্রামে একটি বস্তাবন্দী গলাকাটা লাশের সন্ধ্যান পায়। এঘটনায় আবুল বাশারের স্ত্রী বাদী হয়ে প্রধান আসামী ছালেহ মুসাসহ ৬জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে গতকাল সোমবার আবুল বাশারের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকাবাসী। মিছিলটি কোয়া চাঁদপুর গ্রাম থেকে শুরু হয়ে কোয়া,উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন, কচুয়া বিশ^রোড, পৌর বাজার ও কচুয়া থানা এলাকা প্রদিক্ষণ করে।

সোমবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আবুল বাশারের লাশ তার নিজ গ্রামে নিয়ে আসা হলে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্না আর আহাজারীতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। বাদ জোহর কোয়া চাঁদপুর হাজী বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়