সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৩

সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

সীমান্তে অন্ধকারের খেলা

মো. জাকির হোসেন
সীমান্তে অন্ধকারের খেলা
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন মোড় দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই ভারতীয় সীমান্ত থেকে পাগলবেশী ব্যক্তিদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিয়ে স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসনের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

সীমান্ত উত্তেজনার সূচনা: ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। এর পর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নিলে, বাংলাদেশ সরকার কড়া প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদের মুখে বিএসএফ কিছুটা পিছু হটলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি।

পাগলবেশী ব্যক্তিদের উপস্থিতি: সম্প্রতি সীমান্ত এলাকাগুলোতে পাগলবেশে থাকা কিছু অদ্ভুত মানুষের দেখা মিলছে। তাদের অনেকে হিন্দিতে অসংলগ্ন কথা বলছে, যেমন “বন্ধ করদো মেনে বাঁচা দিয়া।” এসব কথা স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তাদের অস্বাভাবিক পোশাক, আচরণ, এবং ভাষা সাধারণ মানুষের ধারণাকে আরও সন্দেহপূর্ণ করে তুলছে।

স্থানীয়দের উদ্বেগ: সীমান্তের স্থানীয়রা এই পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তাদের ধারণা, এই ব্যক্তিরা হয়তো মানসিক রোগী নয়। তারা হয়ত কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে তাদের অদ্ভুত কথাবার্তা এবং আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, এটি কোনো পূর্বপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড হতে পারে।

প্রশাসনের পদক্ষেপ: বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিজিবি জানিয়েছে, এই ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতামত:বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাগলবেশী এসব ব্যক্তিদের উপস্থিতি সীমান্ত উত্তেজনার অংশ হতে পারে। তবে এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাদের ব্যবহৃত ভাষা, পোশাক, এবং কার্যক্রম খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এটি একটি সুপরিকল্পিত ঘটনা।

জনমনে প্রশ্ন:

বর্তমানে সাধারণ মানুষের মনে প্রধান প্রশ্ন—

১. এরা কারা?

২. কেন তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে?

৩. এর পেছনে কোনো রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র আছে কি না?

সতর্কবার্তা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা কেবল সীমান্ত পরিস্থিতিকেই ঘোলাটে করছে না, বরং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে পারে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সাধারণ জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে।

আসন্ন সময়ে এই ঘটনার প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং পরিণতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়