প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭
ঈদ ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে উৎসব মানেই ভ্রমণ। আর এই উৎসবকে ঘিরেই মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যায়। কেউ কেউ আবার উৎসবটাকে আরও উপভোগ করতে দেশ-বিদেশের দর্শনীয় জায়গায় চলে যান পরিবার-পরিজন নিয়ে। ধর্মীয় উৎসবরে সঙ্গে বর্তমানে ভ্রমণ এক অবিচ্ছেদ্য বিষয়। অন্যদিকে উৎসব মানে খাবারের সম্ভার।
এই ভ্রমণে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ভ্রমণের সময় কেউ যাতে অসাবধানতাবশত আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, বাইরের খাবার খেয়ে ও পানি পান করে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। বিশেষ করে ধাক্কাধাক্কি বা নিয়ম ভঙ্গ করে বাস ও ট্রেনের ছাদে উঠে যাতায়াত করা কোনো অবস্থায়ই উচিত নয়। তা না হলে পুরো উৎসবের আনন্দ আগেই মাটি হয়ে যেতে পারে। ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় সঙ্গে নিতে হবে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ ভ্রমণে জানালার পাশে অতিরিক্ত বাতাসের ঝাপটা থেকেও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঈদের সময় অধিকাংশ মানুষই গ্রামের বাড়িতে যায়। যেখানে অনেক সাধারণ ওষুধও পাওয়া যায় না। তাই সম্ভাব্য অসুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে সাধারণ কিছু ওষুধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- মাথাব্যথা, সর্দিকাশি, ডায়রিয়া, পেটফাঁপা, বদহজম, এসিডিটির মতো সাধারণ সমস্যা এ সময় হতেই পারে। এসবের জন্য প্যারাসিটামল, এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, এসিডিটি বদহজমের এন্টাসিড, রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ, পেটে গোলমালের জন্য মেট্রোনিডাজল ও খাওয়ার স্যালাইন সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। একটি ফার্স্টএইড বক্স নিজের মতো তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
এছাড়া ঈদ ভ্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়াটা মোটেও কাম্য নয়। তারপরও অনেকেই কিন্তু ভ্রমণের কারণে ঈদের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবা উৎসবের দিনে থাকেন রোগাক্রান্ত। বিশেষ করে শিশুরা খুব সহজেই আক্রান্ত হয় সর্দিজ্বর, বমি ও ডায়রিয়ায়। এই অসুস্থতার অন্যতম কারণ কিন্তু অসচেতনতা। ভ্রমণে অভিভাবকরা যদি শিশুদের ব্যাপারে সচেতন থাকেন তাহলে খুব সহজেই কিন্তু এসব শারীরিক বিপত্তি এড়িয়ে চলা সম্ভব। বিষয়টি খুবই সিম্পল। যেমন ধরুন ট্রেন, বাস কিংবা লঞ্চে ভ্রমণের সময় শিশুরা সব সময়ই জানালার পাশের সিটটি পছন্দ করে। এ কারণে হঠাৎ করেই শিশুরা অতিরিক্ত বাতাসের ঝাপটার মুখোমুখি হয়, যা অনেকেরই সহ্য ক্ষমতার বাইরে। ভ্রমণে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ডায়রিয়ায়। এর পেছনে কারণ হলো বাইরের পানীয় এবং খাবার গ্রহণ। আর তাই বাইরের খাবার কোনোভাবেই গ্রহণ করা ঠিক নয়।
বিশেষ করে ঘরের তৈরি কিছু খাবার ও পানি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণে বের হওয়া উচিত। ভ্রমণে খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে সবচেয়ে বেশি। ভ্রমণ পথে নানা ধরনের খাবার শিশুদের আকৃষ্ট করে। এসব শিশুকে দেওয়া উচিত নয়। যারা রোগী তারা প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া ভ্রমণে সাধারণ লোকজন সঙ্গে করে বেশ কিছু ওষুধ নিয়ে যেতে পারেন।