প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২
সাক্ষাৎকার : ডা. ইশরাত জাহান লিজা
চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবার মান অনেক উন্নত
চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. ইশরাত জাহান লিজা। পেশাগত দক্ষতা ও মানবসেবার মিশ্রণে তিনি সেবার মান উন্নয়নে কাজ করছেন। ঢাকায় শৈশব ও কৈশোর কাটিয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। চিকিৎসক বাবার অনুপ্রেরণায় এ পেশায় আসা তার জন্য একটি গর্বের বিষয়।
ডা. ইশরাত জাহান লিজা চাঁদপুরে যোগদানের পর গর্ভবতী মা ও প্রসূতি রোগীদের নিরাপদ ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে তার ভাবনা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন চাঁদপুর কণ্ঠের সঙ্গে এক বিশেষ আলাপচারিতায়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শৈশব-কৈশোর কোথায় কেটেছে?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : ঢাকায় কেটেছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : আমার এসএসসি সম্পন্ন হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল থেকে, যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এইচএসসি করেছি ভিকারুননিসা নুন কলেজ থেকে, সেখানেও জিপিএ-৫ পেয়েছি। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেছি। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ইওসি ইন গাইনী ও অবস কোর্স সম্পন্ন করেছি। ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় (পরিবার পরিকল্পনা) উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকুরিতে যোগ দিই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হওয়ার ভাবনা কীভাবে শুরু হলো?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : আমার বাবা একজন চিকিৎসক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার কাজ আমাকে অনুপ্রাণিত করতো। তার উৎসাহেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হিসেবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ, আর ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ করার সেই মুহূর্তটি ছিল গর্ব আর উত্তেজনার মিশ্র অনুভূতি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কবে থেকে কাজ করছেন?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : আমি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে যোগদান করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এখানে সেবার মান কেমন?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : এখানে সেবার মান অনেক উন্নত। প্রতি মাসে শতাধিক নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া টিকাদান, স্বল্পমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এখানে কোন ধরনের রোগী বেশি আসে?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : মূলত গর্ভবতী মায়েরা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : আলহামদুলিল্লাহ, এখনো তেমন কোনো বড় প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়নি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসরে কী করেন?
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : অবসরে আমি গান শুনি এবং ঘুরতে যাই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ধন্যবাদ আপনাকে।
ডা. ইশরাত জাহান লিজা : আপনাকেও ধন্যবাদ।