বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ১৮:০৪

ডেল্টা ভেরিয়েন্ট জলবসন্তের মতোই ছড়ায় : সিডিসি

অনলাইন ডেস্ক
ডেল্টা ভেরিয়েন্ট জলবসন্তের মতোই ছড়ায় : সিডিসি

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসির (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) ডেল্টার ধরণ জলবসন্তর মতোই ছড়ায়। তারা অভ্যন্তরীণ একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস।

করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরন আরেক তীব্র ছোঁয়াচে রোগ জলবসন্তের জীবাণুর মতো খুব সহজে ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার টিকা নেওয়ার ফলে মানবদেহে যে প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তাকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম এই ডেল্টা ধরন।

সিডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ও মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষেত্রে মার্স, সার্স, ইবোলা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকেও পেছনে ফেলেছে ডেল্টা। এমনকি মূল করোনাভাইরাসের চেয়েও এর সংক্রমণ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি।

এ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের মূল ধরনটি এতটা সংক্রামক ছিল না, সেটা ছিল অনেকটা সাধারণ সর্দি-জ্বরের ভাইরাসের মতো, যেখানে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি গড়ে আরও দুইজনকে আক্রান্ত করতে পারতেন।

কিন্তু ডেল্টায় আক্রান্ত একজন রোগীর দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন গড়ে অন্তত ৮ থেকে ৯ জন মানুষ। এমনকি, করোনা টিকার ডোজ নেওয়ার পরও যদি কেউ ডেল্টায় আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে তিনি নিজের নাক ও গলায় টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের মতো বিপুল পরিমাণ ভাইরাস বহন করেন।

একটি ভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘আর জিরো’। সিডিসির পরিচালক র‌্যাচেল ওয়ালনস্কি নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, ডেল্টার সংক্রমণ ক্ষমতা বা ‘আর জিরো’ ৮ এর কিছু বেশি এবং আট বা নয় মাত্রার ‘আর জিরো’ আছে- এমন ভাইরাস পৃথিবীতে খুব বেশি নেই।

তবে টিকার প্রতিরোধী শক্তিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হলেও ডেল্টার সংক্রমণ প্রতিরোধে করোনা টিকার বিকল্প আপতত নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাচেল ওয়ালনস্কি। তিনি জানান, ইতোমধ্যে একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে- বর্তমানে প্রচলিত টিকাসমূহ করোনা সংক্রমণ পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে না পারলেও এ রোগে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

এর আগে সিডিসি যদিও ঘোষণা করেছিল, টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিদের আর মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই, তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে সিডিসির পরিচালক বলেছেন, খুব দ্রুতই সেই নির্দেশনায় পরিবর্তন আনা হবে। নতুন নির্দেশনায় সবাইকেই মাস্ক পরার তাগিদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব রাজ্যে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক মানুষ টিকা নিয়েছেন সেই রাজ্যসমূহে বাড়ছে সংক্রমণ।

সিডিসির পরিচালক র‌্যাচেল ওয়ালনস্কি মনে করেন, টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করতে জনগণকে বার্তা পৌঁছানোর পদ্ধতি ঢেলে সাজানো প্রয়োজন, কারণ অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনটি প্রায় নতুন একটি করোনাভাইরাসের মতো আচরণ করছে।

সিএনএনকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষের এখন বোঝা দরকার যে আমরা এখানে মায়াকান্না করছি না। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের জানা অন্যতম অতি সংক্রামক একটি ভাইরাস এই ডেল্টা।’

সূত্র : সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়