প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:০৩
যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে ইমামদের নিয়ে চাঁদপুর নাটাবের মতবিনিময় সভা
চাঁদপুরে যক্ষ্মারোগী সনাক্তকরণ ও যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ইমামদের নিয়ে করণীয় শীর্ষক নাটাবের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর রোটারীক্লাবে বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণকে নিয়ে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি(নাটাব) চাঁদপুর জেলা শাখা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন। নাটাব চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এমজি ফারুক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুহাম্মদ মাসুদ রানা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাটাব ফিল্ড লেভেল স্টাফ মাসুদ হাসানেরর পরিচালনায় উপস্থিত ইমাম মুয়াজ্জিনের মধ্য বক্তব্য রাখেন
ফরিদগঞ্জ ভাটের গাঁও মুজাদ্দেদিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম এমএম আমিন,বিষ্ণুপুর মদিনা বাজার বাইতুল আমিন জামে মসজিদের খতিব আবু বকর বিন ফারুক,আল- হেলাল জামে মসজিদের ইমাম আঃ রহমান গাজী,ইমাম জিল্লুর রহমানসহ আরো অনেকে। ৩০ জন ইমাম এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের যক্ষ্মা রোগের বর্তমান চিত্র, চাঁদপুর জেলার কার্যক্রম, ফুসফুসের যক্ষ্মার লক্ষণ, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও দায়িত্বসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, সম্পূর্ণ বিনা খরচে রোগ নিরূপণ ও চিকিৎসা করা হলেও গ্রামের অনেক মানুষ বিষয়টি নিয়ে অবহিত নন। বিভিন্ন পেশার মানুষ এগিয়ে এলে খুব কম সময়ের মধ্যে অন্যান্য রোগের মত এই রোগটি নিয়ন্ত্রণ এমনকি নির্মূল করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম সাহেবগণ শুক্রবার জুমআর নামাজের আগে খুৎবায় মাসে অন্তত একবার বিষয়টি নিয়ে মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করতে পারেন। কারণ ইমাম সাহেবদের কথা মুসল্লিরা ভাল করে শোনেন। এভাবে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজতর হবে।
নাটাবের সভাপতি ডাঃ এমজি ফারুক ভূঁইয়া বলেন, সারা বাংলাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি উদ্দেশ্যেই আমরা মত বিনিময় সভা করছি।