প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ
![বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ](/assets/news_photos/2024/03/20/image-45898.jpg)
তিনি ছিলেন সোনার মানুষ
হাসি-ভরা মুখ
তাঁকে দেখলে শত বাঙালির
গর্বে ভরতো বুক।
তিনি ছিলেন রাখালরাজা
সবার আপনজন
তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু
সাতরাজার প্রিয় ধন।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ
করতেন সবার উপকার
তিনি ছিলেন জাতিরজনক
সোনার বাংলার রূপকার।
দল-মত ভুলে মনে রাখতে হবে একটি ফুটবল টিমের যেমন একজন অধিনায়ক থাকেন, তাঁর নেতৃত্বে বাকি খেলোয়াড়রা খেলে। ঠিক তেমনি একটি দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরলসভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কাজ করেছেন, জেল, জুলুম সহ্য করেছেন, একই সাথে আরও অনেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাথে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌম রক্ষার্থে জেল খেটেছেন ও জীবন দিয়েছেন। ১১টি সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতার জন্যে জীবন দিয়েছেন সেই সকল বীর শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। বাংলার মহানায়ক ছিলেন একটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, পররাষ্ট্রনীতি, কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে নিজের দেশের উন্নয়ন, বেকারত্ব সমস্যা সমাধান, ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে তিনি কাজ করেছেন।
জাতির পিতার চলাফেরা, কথা-বার্তা, পোশাক, চোখের চশমা সব কিছুই যেনো নিজস্বতায় অন্যের চাইতে ভিন্ন। লক্ষ কোটি জনতার মধ্য থেকেও জাতির পিতাকে খুঁজে আনা সম্ভব। নেতার চোখের চশমাটির কথা ভুলতে পারছি না, মনে হয় এমন চশমা তাঁর জন্যেই বানানো হয়েছে।
এমন নিখুঁত পতাকার মাপে, মানচিত্রের মাপে আশ্চর্য চশমা, আমি দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর চশমাটি ঘিরে এক অদ্ভূত লোভ ইদানীং লোভাতুর হতে বাধ্য করেছে আমাকে। ওটি আমার চাই-ই, চাই। আমার এ সামান্য চোখে কী বিশাল দৃষ্টিহীনতা, তোমার চোখে একবার দেখতে চাই।
আজন্ম রূপ-ঈশ্বরী জননী আমার, সোনার বাংলা
সকাল, বিকেল, দুপুর কী রাত্রি, অবারিত প্রেম
সুগন্ধ আঙিনা আমার-রক্তপ্লাবণে ভাসে আজো
আজো শস্যগন্ধা মৃত্তিকার বুক চষে দাঁতাল শুয়োর
আমার এই চোখ, এই দৃষ্টি, এই অন্তর
পোড়ে না, কাঁদে না, নাকি দেখে না তার কিছু
পিতা, তোমার চোখ ছোঁয়া হয়নি কখনো আমার
এমন দিগন্তজোড়া চশমা কোথায় পাবো আমি!
তোমার জীবনের সুতোয় বোণা এই স্বদেশ
সেলাই ছিঁড়ে-ছিঁড়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করছে যারা
তাদের মুখোশের চেয়ে সুরত যতো দীর্ঘ
সে সব আর দৃশ্যত নয় আমােদর এই সাধারণ চোখে
তোমার দৃষ্টি দাও, পিতা; নয় তো দাও সেই চশমা
যার কাচ দুটি ধরে আছে আমৃত্যু কান্নার দাগ
যার ফ্রেমে জড়িয়ে আছে আনন্দে-বেদনায়
ক্ষুধা ও তৃপ্তিতে-এই বাংলার মায়াময় ধূলোবালি
বঙ্গবন্ধু তোমার চশমাটি ঘিরে এক অদ্ভূত লোভ
ইদানীং লোভাতুর হতে বাধ্য করেছে আমাকে
অথচ কী আশ্চর্য! কতটা অভাগা আমি
তোমার সেই আশ্চর্য চশমাটির লেন্সের পাওয়ার-
আমার জানাই নেই!
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে হায়েনার দল, কলঙ্কিত করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে। তারা ভেবে ছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই মুছে যাবে তাঁর নাম, তারা ভুলে গেছে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। পাপ যেমন তার বাপকেও ক্ষমা করে না, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমা করা যায় না, তাদের হত্যার মধ্য দিয়েই কলঙ্কমুক্ত হবে বাংলাদেশ। সবশেষে জাতির পিতাসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, মহান আল্লাহ সবাইকে জান্নাতবাসী করুন।
লেখক : সাংবাদিক ও নাট্যকার।