প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ঈদ উৎসবে সুস্থ থাকতে
ঈদের আনন্দ মুসলমানদের জন্য সব সময়ই স্পেশাল। এবারের ঈদ গতবারের মতো প্রচণ্ড গরমের মৌসুমে হওয়ায় আমাদের খাবারের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে তাপমাত্রা এখন অনেক বেশি, যার দরুন আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অনেক ইলেক্ট্রলাইট বের হয়ে যায়। সেই সঙ্গে খাবার হজমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যদি খাবার খাওয়ার নিয়ম মেনে না খাওয়া হয়।
আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু ক্যালরি এবং পুষ্টি চাহিদা রয়েছে। যা নির্ভর করে ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ, শারীরিক পরিশ্রম প্রভৃতি ওপর। খাবার গ্রহণের সময় আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সেটা হলো খাবারটি সুষম কি-না।
ঈদের খাবার কেমন হবে
সারা মাস রোজা পালন করে ঈদের দিন থেকেই পরিবর্তনটা শুরু হয়। একটা নিয়ম থেকে অন্য নিয়মে যেতে গিয়ে আমাদের কিছুটা থামতে হবে। ঈদের দিনের খাবার অনিয়ন্ত্রিত হলে নানা রকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। যেমন- ডায়রিয়া, বদ হজম, পেটে গ্যাস হওয়া ইত্যাদি। সেই সঙ্গে এবার গরম বেশি পড়ায় যাদের আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগ ইত্যাদি ছিল, তাদের জন্য খাবারের ধরন ও পরিমাণ ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। কেননা অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার বা ক্যালরিবহুল খাবার বেশি খাওয়ার কারণে এসব রোগ বেড়ে গিয়ে জটিল রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
ঈদের সকালের খাবার
ঈদের সকালের খাবার হবে তেলমুক্ত ফ্রেশ খাবার। যেমন- রুটি, চিড়া, আলু, সেমাই বা পায়েশ। এগুলোর সঙ্গে যেকোনো দুটি ফল রাখা। ফলের প্রাকৃতিক জুসও খুব উপকারী। সঙ্গে সবজি বা সবজির সালাদ বা স্যুপ।
ঈদের দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারটি গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু এবার গরম অনেক বেশি, সেহেতু তেল-মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মসলা কম দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করা, সঙ্গে ফল বা সবজির সালাদ, কাবাব করলে সঙ্গে শসা ও লেটুস সালাদ রাখা। এ ছাড়া পোলাও সম্ভব হলে ঘি বা তেল ছাড়া রান্না করা। সঙ্গে পানীয় হিসেবে টকদই দিয়ে বোরহানি, মাঠা, লেবুর পানি বা পুদিনা পাতা লেবুর শরবত রাখা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে চিনির ব্যবহার তুলনামূলক কম করতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা চিনি ছাড়া খাবেন।
ঈদের বিকেলের নাশতা
ঈদের বিকেলে কয়েক রকমের ফলের সঙ্গে বাদাম, সবজি বা চিকেন স্যুপ রাখা যেতে পারে। এর পাশাপাশি কাবাব বা চিকেন সালাদও খাওয়া যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ঠিক রাখতে ডাবের পানি, ফলের জুস খুব উপকারী।
ঈদের রাতের খাবার
রাতের খাবার তুলনামূলক হালকা হতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অবশ্যই সুষম হতে হবে। অনেক সময় হালকা খাবার হিসেবে সালাদ আর যেকোনো প্রোটিন নিলেই হবে। এ ছাড়া অল্প ভাত বা রুটি খাওয়া যাবে। ঘুমানোর আগে যেকোনো একটি টক ফল রাখলে ভালো। মনে রাখতে হবে খাবারের পাশাপাশি পানি গ্রহণ ঠিক রাখতে হবে প্রতিদিন। একজন সুস্থ মানুষকে দুই থেকে ৩ লিটার পানি গ্রহণ করতে হবে।