প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সর্দি-কাশিতে যেসব ভেষজ খাবারে মিলবে সমাধান
শীত পড়তেই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অনেকেই। এই ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এখন সুস্থ থাকাটায় যেনো চ্যালেঞ্জের। আসলে শীতে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময় বাতাসে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়।
ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই তীব্র এই শীতে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারে। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
রসুন : বুকে কফ জমে থাকলে তা বের করতে সাহায্য করে এই বিশেষ উপাদান। সাধারণত সর্দি-কাশি লাগলে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভোগেন। রসুন দ্রুত শরীর সুস্থ করে তোলে। আর রসুনে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আদা : সাধারণত সংক্রমণ থেকেই শীতে সর্দি-কাশি হয়। আর এই সংক্রমণের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে সাহায্য করে আদা। এতে আছে জিঞ্জেরল নামের একটি বিশেষ উৎসেচক। যা দ্রুত কফ বের করে দেয়।
তুলসি পাতা : সর্দি-কাশি কমানোর আরেক ভেষজ হলো তুলসি পাতা। বহুদিন ধরেই সর্দি-কাশি কমাতে কার্যকরী এটি। ফুসফুসের কোনো সংক্রমণ থাকলে তাও সারাতে সাহায্য করে তুলসিপাতা।
টকজাতীয় ফল : শীতকাল মানেই ফল ও সবজির মৌসুম। এই সময়ের স্পেশাল ফল কমলালেবু আপনার ডায়েটে রাখুন রোজ। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। যা সর্দি-কাশির সমস্যা সহজেই দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজের রস : পেঁয়াজ সবার রান্নাঘরেই থাকে। এটিও সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর করতে দারুণ ওস্তাদ। এটি ফুসফুসের মধ্যে কোনো প্রদাহজনিত জ্বালা হলে তা কমিয়ে দেয়।
মধু : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু সর্দি-কাশির জন্য খুব উপকারী। ২০২১ সালের একটি গবেষণায় দাবি, আপার রেসপিরেটরি সিনড্রোম কমাতে সাহায্য করে মধু। পাশাপাশি মধুর গুণে কাশি কমে। এমনকি গলায় কোনো সংক্রমণ হলে তাও সেরে যায়।
হলুদ : দুধের সঙ্গে কিংবা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন এই বিশেষ মসলা। এর মধ্যে দুই রকম গুণ আছে। যার একটি হলো অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি। অর্থাৎ এটি কোনো প্রদাহজনিত ব্য়থা কমাতে সাহায্য করে। অন্য়দিকে এর মধ্যে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ফুসফুসের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে।
কুমড়ার বীজ : কুমড়ার বীজ জিংকের সমৃদ্ধ উৎস। এটি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে জরুরি। তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতেই পারেন এই বিশেষ বীজ। সস্তায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কুমড়ার বীজ সারিয়ে তুলবে আপনার রোগ।
রোগের প্রকোপ বেশি হলে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ একজন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হাওয়াটাই অধিক যুক্তিযুক্ত।