বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

ছুটি পেলে ঈদে বাড়ি যাবো
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পবিত্র মাহে রমজান অতিবাহিত করছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে চেয়ে রোজায় প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ব্যাপক ধরনের পরিবর্তন আনতে হয়। ঈদের পর তা আবার অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক করে নিতে হয়। তাই এ সময়ে স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে হবে। সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু এখন গরমকাল, তাই পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। আবহাওয়ার সাথে মানসিক পরিবর্তনকে স্বাভাবিক রাখতে হবে।

ঈদ এলে শৈশবের কথা মনে পড়ে। বন্ধুদের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে সোনালি মুহূর্তগুলোর কথা। চাঁদপুর সদর উপজেলার ছোটসুন্দর গ্রামে আমার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে। আবহমান গ্রামবাংলার সুশীতল সবুজেঘেরা গ্রামীণ পরিবেশে আমার বেড়ে ওঠা। গ্রামের ঈদের স্মৃতি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলোর মধ্যে অন্যতম। ঈদ সবসময় আনন্দময়, তবে শৈশবের ঈদ সবচেয়ে বেশি আনন্দের ছিলো। এখনকার ঈদের অনুসঙ্গ এবং আগের ঈদের অনুসঙ্গ পরিবর্তন হয়েছে। কালের পরিবর্তন আসলে এখানেই!

শৈশবে ঈদে গ্রামে খেলাধুলা, সব বন্ধু একসাথে আড্ডা দেয়া, রমজানে অনেকে মিলেমিশে ইফতার করা এখনো অনুভব করি। বন্ধুদের ভীষণ মনে পড়ে। বন্ধুরা সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। এখনকার যান্ত্রিক জীবনে আগের সব অনুভূতি কমে গেছে। অন্তরঙ্গতা কমে গেছে। আমাদের সময়ে, যে কোনো সমস্যা সকলে মিলেমিশে সমাধান করতাম। প্রিয় শিক্ষকদের কথা মনে পড়ে। যাঁদের দোয়ায় আজ আমি চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সেবা নিয়োজিত হতে পেরেছি। পুরোনো খেলাধুলা কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে এগুলো ভীষণভাবে মনে পড়ে।

শৈশবে চাঁদরাতে ইফতারের পর সবাই মিলে ঈদের চাঁদ দেখার চেষ্টা করতাম। কোনো সময় দেখতে পারতাম, কোনো সময় দেখতে পারতাম না। তবে কখনোই ঈদের জামা কাউকে দেখতে দিতাম না। ২৫-৩০ আগের কথা। আমাদের সময় ঈদের সালামির প্রচলন ব্যাপকভাবে ছিল না। আমরা অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতাম। অনেকে হয়তো সালামির বিষয়টা বুঝতেন না। তাই মরুব্বিদের দোয়াই ছিলো আমাদের প্রধান সালামি। ঈদের দিন খেলনা কেনা, ঘুরে বেড়ানোই ছিলো আমাদের প্রধান কাজ।

একবার ঈদে হাতিয়ায় থাকাবস্থায় বাড়িতে আসা নিয়ে একপ্রকার অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য আমি ছুটি পেয়ে পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপন করি। মূলত ঈদের আনন্দ শৈশবেই। বড় হয়ে নানা প্রকার দায়িত্ব কাঁধে ভর করে। আবার কালের বিবর্তনে আনন্দের ধারাও পরিবর্তন হয়। সবচেয়ে বড় কথা, বড়দের ঈদ আনন্দের সাথে ছোটদের আনন্দ কখনোই মেলানো যাবে না।

ডাঃ মোঃ নোমান হোসেন : প্রাক্তন রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়