প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
রক্তদান মানে জীবন দান। কথাটার সঙ্গে সবাই পরিচিত। অথচ রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মানসিকতা এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
গোটা বিশ্বে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে যারা পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিশুদ্ধ রক্ত সংগ্রহ করে অসুস্থদের কাজে লাগায়। রক্তদান ধারণার চেয়েও বেশি উপকারী।
রেড ক্রস সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাস থাকে। এ কারণে ৩ মাস আগের সঙ্গে বর্তমানের লোহিতকণিকা এক হবে না। এজন্যে এটা ভাবা ঠিক নয় যে, রক্তদান করলেই শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দেবে। বরং রক্তদান করলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে রক্তদানের আগে ও পরে ক’টি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
রক্তদানের আগে
১. রক্ত দিতে যাওয়ার আগে দেখে নিন আপনার জ্বর বা সর্দি কাশি আছে কি না।
২. কোনও অ্যান্টিবায়োটিক বা ইনসুলিন চিকিৎসা যাতে না চলে তা নিশ্চিত করুন।
৩. হৃদরোগজনিত জটিলতা, হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের কোনো উপসর্গ, কিডনির অসুখ, বা কোনো রকম ক্রনিক অসুখ থাকলে রক্ত দেয়া ঠিক নয়।
৪. ৬ মাসের মধ্যে কোনো রকম অস্ত্রোপচার হলে রক্ত না দেয়াই ভালো।
৫. ৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ভ্যাকসিনেসন নেয়া যাবে না।
৬. অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় রক্ত না দেয়াই ভালো।
৭. যদি এর আগে রক্ত দিতে গিয়ে আপনি অজ্ঞান হয়ে যান তাহলে এখনই রক্ত না দেয়া ভালো।
৮. কোনো রকম ওষুধ নিয়মিত সেবন করলে রক্তদান করবেন না।
৯. রক্তের জন্যে কোনো ওষুধ খেলে রক্তদান করবেন না।
১০. রক্তদানের ৪৮ ঘণ্টা আগে অ্যালকোহল সেবন করা চলবে না।
রক্তদানের পর যে বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার
১. আগামী ২৪ ঘণ্টায় পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
২. রক্তদানের পর লাগিয়ে দেয়া স্ট্রিপ ব্যান্ডেজ অন্তত কয়েক ঘণ্টা রাখুন।
৩. ত্বকের র্যাশ এড়ানোর জন্যে ব্যান্ডেজ খোলার পর ভালো করে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
৪. রক্তাদানের দিন ভারী কিছু তোলা বা ব্যায়াম না করাই ভালো।
৫. যদি সূঁচ ফোটানোর জায়গা থেকে রক্তপাত হতে থাকে তা হলে ক্ষতের উপর চাপ দিয়ে হাত সোজা করে ৫-১০ মিনিট উপরের দিকে ততোক্ষণ তুলে রাখুন যতোক্ষণ না রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে।
৬. রক্ত দেয়ার পর মাথা ঘুরলে বা কোনো রকম শারীরিক অস্বস্তি হলে কিছুক্ষণ বসে থাকুন বা শুয়ে থাকুন। যতোক্ষণ না সুস্থ বোধ করছেন ততোক্ষণ বিশ্রাম নিন।
তথ্যসূত্র : অনলাইন।