প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ০০:০০
হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে জ্বরের প্রকোপ। এদিকে করোনাভাইরাসও তার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে ফিরে এসেছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে জ্বর আসা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মনে এক ধরনের শঙ্কা থেকেই যায়, করোনা পজিটিভ না তো! যেহেতু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ও জ্বরের মধ্যে অনেকটা মিল রয়েছে, তাই এ দুটি আলাদা করা কঠিন। তবু কিছু লক্ষণের দিকে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন করোনা নাকি সাধারণ জ্বর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথম ১০ দিন জ্বর থাকবে ১০৪ ডিগ্রি। এর কারণ হলো, মরণঘাতি এই ভাইরাসের প্রকোপ মানুষের শরীরে ১০ দিন ধরে জারি থাকে। সেইসঙ্গে থাকবে শুকনো কাশি।
সাধারণ জ্বর যেটি ঋতু পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে, তাতে জ্বরের সঙ্গে সর্দি, নাক বন্ধ, গলা খুশখুশ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেবে। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হলে সর্দি বা নাক বন্ধের মতো সমস্যা দেখা দেবে না। এই ভাইরাস সরাসরি শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, যে কারণে শুকনো কাশির সঙ্গে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর শরীরকে ভীষণ দুর্বল করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, সাধারণ জ্বরের লক্ষণ থেকে শুধু উপসর্গের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা খুব কঠিন। অনেকক্ষেত্রে এটি অসম্ভব। তাই সাধারণ জ্বর বা সর্দি-কাশি মনে হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জ্বর যদি টানা কয়েকদিনেও না সারে, তবে একদমই অবহেলা করবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে অনেকটাই বেড়ে গেছে করোনার সংক্রমণ। তাই জ্বর হলে করোনার পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই ভালো। করোনা হয়েছে মনে করে পরীক্ষা করে নেবেন। নেগেটিভ হলে বুঝে নেবেন এটি সাধারণ জ্বর আর পজিটিভ হলে তখন পরবর্তী নিয়ম মেনে চলবেন। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।