প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের খাবার গ্রহণের সময়সূচিতে পরিবর্তন হয়ে থাকে। সারাদিন রোজা রাখার পর কী ধরনের খাবার স্বাস্থ্য উপযোগী তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। সাধারণত বেশির ভাগ পরিবারে ইফতার, রাতের খাবার ও সেহরি এ তিন সময় খান। অনেকে আবার দুই বেলা খেয়ে থাকেন। কেউ রাতের খাবার বাদ দেন, আবার কেউ গভীর রাতে সেহরিতে তেমন কিছু মুখে দিতে পারেন না।
অভ্যাসের বৈচিত্র্য থাকলেও সুস্থতার জন্যে প্রত্যেকেরই মোটামুটি ক্যালরির মান বজায় রাখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রমজানে স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে-
বেশি বেশি পানি পান করা : এ গরমে লম্বা সময় রোজা থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে যাদের চাকরি বা কাজের জন্যে বাইরে রোদে যেতে হয় তাদের জন্যে ঝুঁকি বেশি। তাই ইফতারে এবং পরবর্তী সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। বেশি চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত ফলের রস না খেয়ে বরং এ সময় লেবুপানি, ডাবের পানি এবং বাড়িতে তৈরি ফলের রস পান করা ভালো। রসালো ফলমূল, শসা, টমেটো ইত্যাদি পানিযুক্ত সবজিও শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করবে।
ভাজা পোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা : ইফতারে প্রচলিত পেঁয়াজু, ছোলা, চপ, কাবাব, বেগুনি ইত্যাদি বেশির ভাগ খাবারই তেলে ভাজা এবং অতি ক্যালরিযুক্ত। রোজা রেখে এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। তাই খাবারে যতো কম তেল ব্যবহার করা যায় ততো ভালো। তেল এড়ানোর জন্যে ভাজা ছোলাবুট না খেয়ে সেদ্ধ বা পানিতে ভেজানো কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। ভাজা খাবারের বদলে মাঝে মাঝে চিড়া দই, সেদ্ধ নুডলস্ বা পাস্তা, নরম খিচুড়ি, ওটমিল ইত্যাদি খেতে পারেন। আর বেশি করে তাজা ফলমূল খান। রোজা ভেঙে ইফতারে হঠাৎ করে খুব বেশি খাবার গ্রহণ করা ঠিক নয়। কিছু খাবার খেয়ে বিরতি নিয়ে আবার খান। মনে রাখবেন, ইফতার হওয়া উচিত সকালের নাশতার মতো।
পরিপূর্ণভাবে সেহরি গ্রহণ করা : সেহরি না খেয়ে রোজা রাখার অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। শেষ রাতে জটিল শর্করা বা ভাত-রুটির সঙ্গে আমিষ (মাছ-মাংস বা ডিম) খাবেন। এ সময় পূর্ণ আহার করবেন। দুধও খেতে পারেন। এটা হবে আপনার দিনের প্রধান খাবার, অনেকটা মধ্যাহ্নভোজের মতো।