শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |  
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার পথচলা সহজ করেছে

মিজানুর রহমান রানা ॥
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার পথচলা সহজ করেছে

নাম মোঃ নাজমুল হাসান। পেশায় একজন ব্যাংকার। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজার গাউছিয়া টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত মেঘনা ব্যাংক পিএলসি-এর সিনিয়র অফিসার (সিনিয়র ব্রাঞ্চ অপারেশন অফিসার)। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার ডেস্কে নিয়মিত ব্যাংকের কার্যক্রম সাবলীলভাবে চালিয়ে যান। দেখা গেছে, যে দায়িত্বটি তার নয়, হয়তো ব্যাংকের তার অধঃস্তন একজনের কাজ, তিনি সেটাও নিজ হাতে করে দেন অকপটে।

গত ১০ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার ব্যাংকে গিয়ে তার সাথে তার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল এবং পরে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণায় তথ্য প্রযুক্তিতে মানুষের পথচলা বর্তমানে অনেকটাই সহজ হয়েছে। আগে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে যে পদ্ধতি ছিলো, তা ছিলো অ্যানালগ। অনেক সময় লাগতো। অনেক সময় টাকা বহন করে অন্য ব্যাংকে বা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জমা করতে হতো। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে এখন আর তেমন একটা সময় লাগে না, অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংকে টাকা পাঠানো সহজতর হয়েছে। এটা তথ্য প্রযুক্তির অবদান।

অনেক সময় তো এসব কাজে বিভ্রাট ঘটে!

এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছুরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। তবে এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদেরকে ভালোভাবে জেনে শুনে বুঝে কাজ করতে হবে। তাছাড়া গ্রাহকের ব্যাংকের তথ্যগুলো নিজের মধ্যে সংরক্ষিত রাখতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে টাকা-পয়সা লেনদেনে দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়াতে হবে। বিচার বিবেচনা বোধ ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটাতে হবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেমন মনে করেন আপনি একজনের একাউন্টে টাকা পাঠাবেন। আপনাকে তার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি সঠিক লিখেছেন কি-না তা যাচাই করতে হবে। তাছাড়া অন্যান্য বিষয় বার বার যাচাই করে দেখতে হবে। মনে করেন, এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে চারটি তথ্য লাগে। যেমন : যে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন, ওই ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, হিসাব নম্বার এবং হিসাবের নাম সঠিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে হবে। তাহলে কোনো প্রকার বিভ্রাট ছাড়াই অনায়াসে টাকা পৌঁছে যাবে।

আপনি যার একাউন্টে টাকা পাঠাবেন, একটি তথ্য ভুল করেন, তাহলে হয়তো অন্য কারও একাউন্টে টাকা চলে যেতে পারে অথবা টাকাটা ফেরত চলে আসবে। এতে সময়ের অপচয় হবে।

তাছাড়া বর্তমানে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে আপনাকে সাবধানে কাজ করতে হবে। অচেনা কাউকে সহজেই আপনার একাউন্টের তথ্য, যেমন কার্ড নাম্বার, কার্ডের গোপন (পিন) নাম্বার প্রদান করবেন না। প্রয়োজনে অজানা কাউকে তথ্য দেওয়ার আগে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিবেন। আপনার চেক বই, কার্ড, এফডিআর ও স্কিম ডিপোজিটের রসিদ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। অন্যথায় হয়তো আপনার দূরের বা কাছের যে কেউ এগুলোর অপব্যবহার করতে পারে।

তাছাড়া অপরিচিত বা পরিচিত কারও টাকা আপনার একাউন্ট থেকে পাঠাতে যাবেন না। কারণ ওই টাকাটা কোন্ উৎস হতে এসেছে অথবা কোন্ উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে তা না জেনে অপরের উপকার করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।

ব্যাংকিং কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সাধারণ মানুষ কতটুকু উপকার পাচ্ছে?

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সত্যিকার অর্থে মেঘনা ব্যাংকে শুধু একজন কর্মকর্তা হিসেবেই কাজ করি না। আমরা মানুষের সেবক হিসেবে নিজকে দেখি। তাই আমাদের কাছে যখন মানুষ সেবার জন্যে আসে তখন ব্যাংকিং কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে যতটুকু সেবা দেওয়া যায় ততটুকু দেওয়ার চেষ্টা করি। বর্তমানে মেঘনা ব্যাংকে সব কাজকর্মই চলে অনলাইন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে। আপনি এই ব্যাংকের যে কোনো শাখায় একাউন্ট করে অন্য কোনো শাখা থেকেও একই রকম সেবা পেতে পারেন। আর সেটা সম্ভব হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির সম্পূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে। এক শাখায় বসে গ্রাহক অন্য শাখায় টাকা উঠানো, তার স্থিতি দেখা, টাকা ট্রান্সফার করা সবই করতে পারেন। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে।

অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ কী?

এ প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, আপনাকে একটা সময় ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আপনি ঘরে বসেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স বা স্থিতি চেক করা, অন্য একাউন্টে টাকা স্থানান্তর, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, ডিপিএস বা এফডিআর ওপেন, চেক বইয়ের রিকুইজিশন ইত্যাদি করতে পারবেন। আপনার দৈনন্দিন জীবনের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করবে অনলাইন ব্যাংকিং। তবে এজন্যে আপনাকেও ধীরে ধীরে আপডেট হতে হবে, যাতে আপনি ভবিষ্যতের সুবিধাগুলো নিতে পারেন। মেঘনা ব্যাংক সব সময়ই গ্রাহকদের সেবার ব্যাপারে আন্তরিক। তবে সকল সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে ভবিষ্যতে আমরা আরো আন্তরিকতা ও বেশি সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাবো--এই কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়