প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন ক্লাবরোড এলাকায় বসবাস করেন রুবিনা আক্তার। পরিবারে তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন ও মায়ের নাম রোকেয়া বেগম। তার বাবা একজন শ্রমিক। রুবিনা পড়াশোনা করছেন আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমির দশম শ্রেণী মানবিক বিভাগে। চাঁদপুর সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমিতে দীর্ঘদিন ধরে তাকে অনুশীলন করতে দেখা যাচ্ছে।
ক্রীড়াকণ্ঠের এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, তার বোন তার বন্ধু ও বড় বোন আরেক প্রমীলা ফুটবলার আফরোজার মাধ্যমে তিনি এই একাডেমিতে আসেন। ছোট থেকে তার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ। এর মধ্যে ফুটবল প্রিয় খেলা। গোলকিপার হিসেবে ফুটবল খেলতে তিনি পছন্দ করেন। তার মেজো বোন চৈতি তাকে খেলাধুলার জন্যে উৎসাহ প্রদান করেন। প্রথমে তার বাবা-মায়ের কিছুটা আপত্তি থাকলেও এখন তারাও তাকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।
রুবিনা জানান, এ একাডেমিতে সাবেক ফুটবলার জাহাঙ্গীর গাজী ও আনোয়ার হোসেন মানিকের নেতৃত্বে তিনি অনুশীলন করে যাচ্ছেন। তিনি যে স্কুলে পড়েন তার অনেক বেতন বকেয়া ছিলো এবং বিভিন্ন সমস্যা ছিল। খেলাধুলা করার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বেতন অনেক মওকুফ করে দিয়েছেন। রুবিনা জেলা পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদপুর সদরের হয়ে খেলেন। জেলা পর্যায়ে খেলার পর সম্প্রতি বিভাগীয় পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলেছেন। তার ইচ্ছা, তিনি একজন ভালো প্রমীলা গোলকিপার হিসেবে ভালো খেলবেন। এজন্যে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন, আগামীতে যদি স্কুল খুলে তিনি মনে করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ তার পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্যে তাকে সহযোগিতা করবে।
রুবিনা বলেন, করোনাকালীন সময় আমরা দীর্ঘদিন বাড়িতে ছিলাম। সারাদেশে করোনা কিছুটা কম হওয়ার কারণে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটবলের অনুশীলন শুরু হয়েছে। চাঁদপুর সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমির অনুশীলন শুরু হওয়ার পরে আমি নিয়মিত আসি ফুটবল অনুশীলন করার জন্য। আমরা যারা প্রমীলা ফুটবলার রয়েছ তারা যেনো জেলা পর্যায়ে নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে যেনো মাঝে মাঝে টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আমাদের মতো অনেক মহিলা ফুটবলার ফুটবল খেলতে মাঠে আসবে বলে বিশ্বাস করি।