বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   থানা থেকে লুট হওয়া ৫৭৬টি বুলেট উদ্ধার
  •   অদৃশ্য রহস্যজনক আগুনে পুড়ছে ঘরবাড়ি : আতঙ্কে গ্রামবাসী
  •   বাশার আল আসাদের পতন: ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান
  •   ভারতকে কাঁদিয়ে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা বাংলাদেশের
  •   প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০

ড্যাফোডিল প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জয়ী টিম ডাকাতিয়ার মালিক জহির উদ্দিন মিজি

আবাহনীসহ শক্তিশালী দলগুলোকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছি

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
আবাহনীসহ শক্তিশালী দলগুলোকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছি

স্বপ্ন, চেষ্টা ও লক্ষ্য ঠিক থাকলেই যে অনেক কিছু করা সম্ভব তার কিছুটা চিত্র ফুটে উঠলো ড্যাফোডিল প্রিমিয়ার (প্রথম বিভাগ) ক্রিকেট লীগে। খেলাপ্রেমী একজন মানুষ হিসেবে রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিজেকে তৈরি করেছেন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছেন টিম ডাকাতিয়ার মালিক চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি। ৪ বছর পর শুরু হওয়া প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে প্রথম বারের মতো অংশ নিয়েই জেলাবাসী সহ ক্রীড়ামোদী সংগঠক ও দর্শকদের মন জয় করে ফাইনালে শক্তিশালী আবাহনী ক্রীড়া চক্রসহ লীগের বিভিন্ন পর্বে প্রথম সারির দলগুলোকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো চাঁদপুর শহরের ১২ নং ওয়ার্ড এলাকাস্থ বঙ্গবন্ধু সড়কের ক্লাবটি। একই বছর তারা জেলা পর্যায়ে দুটি শিরোপা অর্জন করেছে এবং দুটি শিরোপা অর্জনেই কোনো দলের সাথে তাদেরকে হারতে হয়নি।

চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এর আগে প্রায় ৯ বছর পর শুরু হওয়া ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ডাকাতিয়া। দলটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে খেলার সুযোগ পায়। এতে জেলা পর্যায়ে নতুনভাবে দল গঠন করে দুটি শিরোপা অর্জন করে একই বছরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলোর মধ্যে রেকর্ড গড়ে। চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা এবং সাবেক ও উদীয়মান ক্রিকেটার সহ বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যে বলতে শুরু করে দিয়েছেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী কমিটিতে আগামীতে ভালো একজন দায়িত্ববান ক্রীড়া সংগঠকের আত্নপ্রকাশ ঘটেছে। ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান। ২য় বিভাগ ও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ দুটোটেই অংশ নিয়েছিলো ৮টি করে দল।

চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ড্যাফোডিল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের ফাইনাল শেষে ক্রীড়া কণ্ঠের এ প্রতিবেদকের সাথে টিম ডাকাতিয়ার মালিক ও ক্রীড়া সংগঠক জহির উদ্দিন মিজির আলাপকালে তিনি বলেন, দলের সকল খেলোয়াড়ের ধারাবাহিকতার কারণেই আমরা ম্যাচে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। জেলা পর্যায়ের ক্রিকেট খেলাগুলো যদি নিয়মিত মাঠে গড়ায়, তাহলে এ জেলা থেকে আরো ভালো মানের ক্রিকেটার সৃষ্টি হবে। জেলা পর্যায়ে এখন দুটি ক্রিকেট একাডেমী রয়েছে। অনেক ক্রিকেটারই সেখানে নিয়মিত অনুশীলন করছেন, যাদেরকে নিয়মিত মাঠে খেলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। জেলা পর্যায়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলাগুলো নিয়মিতভাবে হলে খেলোয়াড়দের খেলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, আমরা ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হই এবং এর পরেই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে অংশ নেই। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে অংশ নিয়েই শুরু থেকে জেলার উদীয়মান ও তরুণ ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে দল গঠন করে আমরা খেলতে নামি। শুরু থেকেই দলের সকল কর্মকর্তাসহ খেলোয়াড়দের মনোবল ছিলো যে, লীগে আমাদের দলটি ভালো কিছু করবে। ইনশাল্লাহ আমরা সকলের দোয়া ও সমর্থনে শিরোপাটি জয় করেছি। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের ফাইনালে আমরা লড়েছি জেলার শক্তিশালী দল আবাহনীর সাথে। আবাহনীর মতো বড় দলের সাথে জয়লাভ করে আনন্দও লাগছে এবং গর্ববোধ করছি। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে যে খেলা হচ্ছে এবং মাঝে মাঝে যে আয়োজন করা হয়ে থাকে, তার প্রচারণা তেমন চোখে পড়ে না। প্রচারণা হলে খেলা চলাকালীন মাঠে দর্শকদের পাওয়া যেতো। দর্শকরা মাঠে আসলে খেলোয়াড়রাও খেলতে উৎসাহ পায়। দর্শকদেরকে জানাতে হবে যে, মাঠে খেলা হচ্ছে এবং লীগ ও টুর্নামেন্টগুলোতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলোকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করাতে হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত অনেক বড় বড় ক্লাব কিন্তু এখন আর নিয়মিত লীগ ও টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না। চাঁদপুরে ক্রিকেট খেলার জন্যে যে ধরনের ক্রিকেট পিচ করা হয়, তাতে করে বোলাররা সুবিধা পেলেও ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা পায় না। আগামীতে পিচ তৈরির সময় সকল কিছুকেই প্রাধান্য দিতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেক তরুণ মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। যাতে তারা মাঠে এসে খেলাধুলা করে আমি সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। উদীয়মান খেলোয়াড়দের নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। আমাদের দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে আমার এলাকাবাসী সহ অনেকেরই সহযোগিতা ছিলো। আমাদের দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়