রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বড় হয়ে ভালো ফুটবলার হতে চাই

---------জাকিয়া আক্তার

অনলাইন ডেস্ক
বড় হয়ে ভালো ফুটবলার হতে চাই

এলাকার সমবয়সী এবং বয়সে কিছুটা বড় বেশ ক’জন প্রমীলা ফুটবলার ইতিমধ্যে ফুটবল খেলার কারণে খেলোয়াড় কোটায় সরকারি চাকুরি পেয়েছেন। জেলা শহরের সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীতে অনুশীলন করে প্রমীলারা খেলছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। বঙ্গমাতা ফুটবলে জেলা পর্যায়ে চাঁদপুর সদর দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি খেলেছেন জেলা দলের হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের ফুটবলেও। রাইটব্যাক হিসেবে দলের হয়ে সবসময়ই খেলেন মূল একাদশে। তার নাম জাকিয়া আক্তার। বাবার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন ও মায়ের নাম ফাতেমা বেগম। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত ফুটবলের অনুশীলনের সাথে জড়িত রয়েছেন অনেকদিন ধরেই।

চাঁদপুর কণ্ঠের ক্রীড়া প্রতিবেদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরামের সাথে ফুটবল অনুশীলন চলাকালে ফুটবল খেলার স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন। তার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন ভালো ফুটবলার হওয়া। খেলার মাঠে অনুশীলন চলাকালে দেখা গেছে, হাসিমুখেই অন্যদের সাথে কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছেন। কখনো মাঠের এই পাশে আবার কখনো মাঠের ওই পাশে ফুটবল কোচের সাথে অনুশীলন করছেন। তার বাবা পেশায় একজন ট্রলার চালক হলেও তার বাবা ও মায়ের অনুপ্রেরণায় নিয়মিত মাঠে চলে আসেন। তিনি পড়াশোনা করছেন চাঁদপুর শহরের আক্কাছ আলী রেলওয়ে একাডেমীর দশম শ্রেণীতে। ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। গত ৩ বছর ধরে তিনি সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীর হয়ে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন। তার খালাতো বোন মিম তাকে এই একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেন। মিম বর্তমানে খেলাধুলা করছেন ঢাকাতে। তিনি নিয়মিত ফুটবল খেলা দেখেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যেতে চান। তিনি জানান, মাঠে নিয়মিত আসার জন্যে অনেক সময় টাকা-পয়সা থাকে না। অনুশীলন শেষে অনেক সময় খাবারের টাকাও হাতে থাকে না। খেলার সরঞ্জামাদি কেনার জন্যে একাডেমীর কর্মকতা মনোয়ার চৌধুরী ও ফুটবল কোচ জাহাঙ্গীর গাজী আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যখনই খেলার যে কোনো কিছু প্রয়োজন পড়ে, তখনই তাদের থেকে সহযোগিতা চাইলে চেষ্টা করেন। আমাদের চাঁদপুর জেলাতে অনেক ধনাঢ্য ক্রীড়ামোদী ব্যক্তি আছেন, তারা যদি আমাদেরকে খেলাধুলার ব্যাপারে একটু পৃষ্ঠপোষকতা করতেন, তাহলে আমার মতো অনেক প্রমীলা ফুটবলারই নিয়মিত আসতো ফুটবল অনুশীলনে। তার স্বপ্ন বড় হয়ে ভালো ফুটবলার হওয়া এবং জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পাওয়া। এজন্যে সকলের দোয়া চেয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়