বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ঢাকাতে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলার ইচ্ছা

--মাছরুন আক্তার ঝুমা

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকাতে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলার ইচ্ছা

বাবা নেই সংসারে। ভাই ও মা এবং বোনের সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়মিত ফুটবলও অনুশীলন করছেন। মা, ভাই ও বোনের অনুপ্রেরণায় খেলার মাঠে তাকে নিয়মিত দেখা যায়। বঙ্গমাতা ফুটবলে জেলা পর্যায়ে খেলার পাশাপাশি জেলা দলের হয়ে ফুটবল খেলছেন মাছরুন আক্তার ঝুমা। তার বাবার নাম মরহুম নাছির মাঝি। মাতা পারভিন বেগম। এক ভাই ফরহাদ মাঝি পেশায় গাড়ি চালক হলেও তার বড় বোন নিলা ক্রিকেট খেলার সাথে জড়িত রয়েছেন অনেক দিন ধরেই। তারা বসবাস করেন চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকার পূর্ব শ্রীরামদীতে।

চাঁদপুর কণ্ঠের ক্রীড়া প্রতিবেদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরামের সাথে খেলার মাঠে আলাপকালে তুলে ধরেন ফুটবল নিয়ে তার স্বপ্ন । তার ইচ্ছে একজন ভালো প্রমীলা ফুটবলার হিসেবে ঢাকার বড় বড় দলগুলোর হয়ে খেলার মাঠে নামার।

লেডী প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করছেন ঝুমা। ৫ বছর ধরে সোনালী অতীত ক্লাব ফুটবল একাডেমীর হয়ে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, তার ছোট থেকেই স্বপ্ন ভালো ফুটবলার হওয়ার। তার বড়বোনই তাকে একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেন। তিনি বঙ্গমাতা স্কুল পর্যায়ের টুর্নামেন্টে চাঁদপুর সদরের হয়ে গত ৩ বছর এবং বিভাগীয় পর্যায়ে জেলা দলের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। একজন রাইট উইঙ্গার হিসেবে মূল একাদশের হয়েই তাকে মাঠে নামতে হয়। তিনি জানান, আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। আমরা টাকার জন্যে নিয়মিত মাঠের অনুশীলনে আসতে পারি না। আমাদের একাডেমীর কর্মকর্তা সাবেক ফুটবলার মনোয়ার চৌধুরী ও ফুটবল কোচ জাহাঙ্গীর গাজী আর্থিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন অনুশীলনে আসার জন্যে। আমরা বিনামূল্যে একাডেমী থেকে খেলার সকল সরঞ্জাম পেয়ে আসছি। এগুলো আমাদের অনুশীলনে অনেক কাজে লাগে। আমাদের এই একাডেমী থেকে অনেক প্রমীলা ফুটবলারই অনেক স্থানে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। আমিও চাই ভালো পর্যায়ের একজন প্রমীলা ফুটবলার হতে। এজন্যে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদসহ সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়