প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্রীড়াকণ্ঠের সাথে আলাপচারিতায় ম্যারাথন খেলোয়াড় শাখাওয়াত হোসেন
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিয়মিত ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবো
ম্যারাথন দূরপাল্লার দৌড় খেলাবিশেষ। সচরাচর খেলা পরিচালনায় রাস্তা ব্যবহার করা হয় বিধায় এটি রোড রেস বা রাস্তার দৌড় খেলা নামে পরিচিত। ম্যারাথন মূলত দীর্ঘ একটি দূরত্বের রেস । আর ভালো একজন ম্যারাথন খেলোয়াড় হওয়ার জন্যে নিজেদের পারিবারিক জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন। হাইস্কুলে পড়াবস্থায় স্বপ্ন দেখেন একজন ভালো ম্যারাথন খেলোয়াড় হওয়ার এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলার। স্কুলে পড়াবস্থাতেই হাফ ম্যারাথন দৌড়সহ চলমান বিভিন্ন ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ভালো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিয়মিত ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আর পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমেই নিয়মিত চর্চাসহ শরীরকে সুস্থ ও খেলার উপযোগী করে তোলার জন্যে ভালো মানের খাবার খাওয়া সম্ভব। তিনি ম্যারাথনের স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। তিনি হলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির শাখাওয়াত হোসেন। তার বাবা জহিরুল ইসলাম ও মা পারুল আক্তার। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা কৃষিকাজ করলেও মা-বাবার ও পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণায় নিয়মিত ম্যারাথন চর্চা করছেন। দরিদ্র সংসারে জন্ম নেয়ায় নিয়মিত চর্চা করলেও ঠিকমতো ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয় ও ভালো মানের খাবারের ব্যবস্থা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে তার। দেশে এই পর্যন্ত ১৮টি ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। নিজ জন্মস্থান কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দৌড়িয়ে তিনি তার চর্চা শুরু করেন। অনুকরণ করেন কেনিয়ার দৌড়বিদকে। ম্যারাথন নিয়ে রয়েছে তার অনেক স্বপ্ন। একজন দেশসেরা ম্যারাথন খেলোয়াড় হওয়ার জন্যে তার স্বপ্ন নিয়মিত অনুশীলন করা ও উন্নত মানের ডায়েট। এজন্যে তিনি ক্রীড়া সংগঠক সহ বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা চাচ্ছেন। তিনি কচুয়ার নলুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি শেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন চাঁদপুর এম এ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে । সেখান থেকে ২০২৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করেন। ক্রীড়াকণ্ঠের প্রতিবেদকের সাথে গত ৩০ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী মাঠে আলাপকালে তিনে তুলে ধরেন তার স্বপ্ন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। পাঠকদের সুবিধার্থে তার বক্তব্যগুলো নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:--
ক্রীড়াকণ্ঠ : আস্সালামু আলাইকুম। আপনি কেমন আছেন?
শাখাওয়াত হোসেন : ওয়ালাইকুম আস্সালাম। জ্বি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় ভালো আছি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ম্যারাথন কবে থেকে শুরু করেন?
শাখাওয়াত হোসেন : ম্যারাথন মূলত দীর্ঘ একটি দূরত্বের রেস। এটা হচ্ছে ৪২.২ কিলোমিটার। যেটি মূল প্রতিযোগিতার অংশ। আমি ম্যারাথন করি অনেকদিন ধরে। নরমালি অফিসিয়াল ভাবে আমি ৪২.২ কিলোমিটার দৌড় দিয়েছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আমি দশম শ্রেণীতে পড়াবস্থায় ২০২২ সাল থেকে ম্যারাথন শুরু করি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কি এর আগে ফুটবল কিংবা ক্রিকেটের সাথে জড়িত ছিলেন?
শাখাওয়াত হোসেন : আমি হাই স্কুলে পড়াবস্থায় বঙ্গবন্ধু আন্তঃস্কুল ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েছি। আমি অষ্টম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত টানা তিন বছর ফুটবল খেলেছি। এছাড়া নবম শ্রেণীতে পড়াবস্থায় প্রথমে ঢাকা আবাহনী মাঠে ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট একাডেমীর হয়ে ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করি এবং পরবতীতে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীতে অনেকদিন অনুশীলন করি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : অনেক খেলাধুলা রয়েছে, এর মধ্যে আপনি ম্যারাথন কেন বেছে নিলেন ?
শাখাওয়াত হোসেন : আমিতো আগেই বলেছি, ম্যারাথন মূলত হচ্ছে দীর্ঘ একটি দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতা । এখানে প্রায় অনেক দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করে। সমবয়সী সহ অনেক সিনিয়র এতে অংশ নেয়। যখন আমি এলাকাতে দৌড়াতাম, তখন খুব ভোরে উঠে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার জন্যে দৌড় শুরু করতাম। আমি প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার একা একা দৌড়াতাম। ওখান থেকেই আমি ম্যারাথন মূলত শুরু করি। আর আমার এই চেষ্টার কারণে জীবনে প্রথমবার ২০২২ সালে প্রথম ইভেন্ট হিসেবে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে হাতিরঝিলে সাড়ে সাত কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হই।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ম্যারাথনে অংশ নিতে গিয়ে কি কাউকে অনুকরণ করেন?
শাখাওয়াত হোসেন : আমি কেনিয়ার দৌড়বিদ ইলিয়েট কিপছগকে অনুকরণ করি। তিনি ৩৯ বছর বয়সে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। আমি তার প্রত্যেকটি ম্যারাথন টিভিতে ও ইউটিউবে দেখি। তাকে আমি অনুকরণ করি এবং চেষ্টা চালিয়ে যাই দেশের সেরা একজন ম্যারাথন প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেকে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি এ পর্যন্ত দেশে ক'টি ম্যারাথন/হাফ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন? উল্লেখযোগ্য ম্যারাথন প্রতিযোগিতা কোন্টি?
শাখাওয়াত হোসেন : আমি ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নেই। শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩-এ ১৫০০ মিটার দৌড়ে জেলা পর্যায়ে এবং বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হই। আমি ওই প্রতিযোগিতায় খুলনা জেলার হয়ে অংশ নিয়েছিলাম (তখন আমাকে চাঁদপুরে কেউ চিনত না)। তাই আমি প্রতিযোগিতার খবর পেয়ে আনসার ভিডিপির কোচের মাধ্যমে খুলনা জেলার হয়ে ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। আমি ওই প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে রৌপ্য পদক (দ্বিতীয় স্থান) পাই। আমার সময় লেগেছিল চার মিনিট ১৯ সেকেন্ড। খেলাটি হয়েছিল আর্মি স্টেডিয়ামে। এছাড়াও আমি শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা জাতীয় অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় ১৫০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় (রৌপ্য) পদক লাভ করি। সেই প্রতিযোগিতাটিও আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আমার অংশ নেওয়া ম্যারাথন প্রতিযোগিতাগুলো হচ্ছে : ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে ২০২২ উপলক্ষে হাতিরঝিলে ৭.৫ কিলোমিটার দৌড় (চ্যাম্পিয়ন), সাভার হাফ ম্যারাথন ২০২২-এর ২১ কিলোমিটার (১ম রানার্স আপ), সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২২ (চ্যাম্পিয়ন), ৪৫তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা ২০২২ (৩০০০ মিটার হার্ডেল্স দৌড়ে ৫ম, ৫০০০ মিটার দৌড়ে ৫ম), কুমিল্লা ১০ কিলোমিটার দৌড় ২০২৩ (১ম রানার্স আপ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন ২০২৩ (২১ কিলোমিটার দৌড়ে ৩ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে ১৭ নাম্বার), ইউসিআর হাফ ম্যারাথন ২০২২ (২১ কিলোমিটারে চ্যাম্পিয়ন), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জ (৫ কিলোমিটার দৌড়ে ২য় রানার আপ), যমুনা হাফ ম্যারাথন ২০২৩ (২১ কিলোমিটারে ২য় রানার্স আপ), বিমান হাফ ম্যারাথন ২০২৩ (৭.৫ কিলোমিটার দৌড়ে ৩য় রানার আপ), কন্সপাইরেশন বাংলাদেশ ১৫ কিলোমিটার দৌড় (২য় রানার আপ), শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ গেমস্ ২০২৩ (১৫০০ মিটার দৌড়ে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন, জেলা চ্যাম্পিয়ন, বিভাগ চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় পর্যায়ে ১ম রানার্স আপ), টুয়েলভ ক্লথিং হাফ ম্যারাথন ২০২৩ (৭.৫ কিলোমিটারে ১ম রানার্স আপ), ইউসিআর আয়োজিত ২৫ কিলোমিটার দৌড়ে ১ম রানার্সআপ, ইউনিমার্ট সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২৩ (১০ কিলোমিটারে চ্যাপিয়ন)।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি এই সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্যে ঢাকাতেই কেন অনুশীলন করেছেন?
শাখাওয়াত হোসেন : আমি ঢাকাতে (সাভারে ) ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ২য় স্থান অর্জন করি। ওখানে আনসার ভিডিপির দুজন খেলোয়াড় ছিলেন। যারা আমার সাথে দৌড়ে পরাজিত হন। তারাই মূলত আমাকে আনসার ভিডিপির ম্যারাথন দলে যোগ দেওয়ার জন্যে পরামর্শ দেন। আনসার ভিডিপির হয়ে ৪৬ তম জাতীয় অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্যে তারা আমাকে দলে ডেকে নেন। আমি আনসার ভিডিপির সাথে এক মাস অনুশীলন করি। পরে ৪৬ তম জাতীয় অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় আনসার ভিডিপির হয়ে তিনটি ইভেন্টে অংশ নেই । ৩ হাজার মিটার হার্ডেলস দৌড়ে সারাদেশে ৫ম, ৫ হাজার মিটার দৌড়ে ৬ষ্ঠ এবং ১০ হাজার মিটার দৌড়ে ৫ম স্থান অর্জন করি। ওই প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা সহ বিভিন্ন অফিসার্স ক্লাবের খেলোয়াড়রা অংশ নেন। আমি ওই প্রতিযোগিতায় ভালো রেজাল্ট করার পরে আনসার ভিডিপির পক্ষ থেকে আমাকে ৬ মাস অনুশীলন করার সুযোগ দেয়া হয়। ওখানে শুধু আবাসন ও অনুশীলনের ব্যবস্থা ছিলো। খাওয়া-দাওয়া নিজের মধ্যেই করতে হয়েছে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ম্যারথন নিয়ে আপনার বক্তব্য?
শাখাওয়াত হোসেন : আমি শুরু থেকেই বলেছি যে, আমার বাবা একজন কৃষক। কৃষিকাজের ওপরই আমাদের সংসার। বাবা কৃষি কাজ করে আমার অন্যান্য ভাই-বোন সহ সকলেরই পড়ালেখার খরচ যোগাতে খুব কষ্ট হয়। ঠিকমতো আমাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন না। কিন্তু আমার স্বপ্ন আমি একজন ভালো ম্যারাথন খেলোয়াড় হওয়ার। আর আমার এই স্বপ্নটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমার একজন ভালো পৃষ্ঠপোষক প্রয়োজন। নিজ উপজেলা কচুয়াসহ চাঁদপুর জেলার যে সমস্ত ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তি আছেন এবং দেশে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান আছে, তারা যদি আমাকে একটু পৃষ্ঠপোষকতা করেন তাহলে আমি নিয়মিত ম্যারাথন চর্চা চালিয়ে যেতে পারবো । ম্যারাথনে অংশ নিতে হলে নিয়মিত অনুশীলন সহ খাওয়া দাওয়ার অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । শরীর সুস্থ থাকলেই যে কোনো খেলাধুলাতে অংশগ্রহণ করা যায়। ভালো ক্রীড়াবিদ ও ভালো মানের ম্যারাথন প্রতিযোগী হতে হলে অনুশীলনের পাশাপাশি ভালো ফুডেরও প্রয়োজন আছে। আমি এজন্যে সকলের সহযোগিতা চাই।
ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুর জেলার হয়ে সুযোগ পেলে কি কখনো অংশগ্রহণ করবেন?
শাখাওয়াত হোসেন : আমার কচুয়াতে বড় হয়েছি। চাঁদপুর হচ্ছে আমার নিজ জেলা। আমি এই জেলার ক্রীড়া সংস্থার হয়ে কিংবা জেলা ক্রীড়া অফিসের মাধ্যমে জেলা দলের হয়ে যদি ম্যারাথনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাই, আমি অবশ্যই অংশ নেবো। আমার ম্যারাথন খেলোয়াড় হওয়ার ক্ষেত্রে যদি চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী কমিটি ও জেলা ক্রীড়া অফিস সহ অন্যরা একটু এগিয়ে আসে, তাহলে আমার স্বপ্নগুলো আমি পূরণ করতে পারবো। আমার স্বপ্ন হচ্ছে, ম্যারাথনে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ড করা এবং দেশের বাইরে চাঁদপুরের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা। আমি যখন নিজে অনুশীলন করি, ক্রীড়ার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ি এবং দেশের বিভিন্ন জায়গাতে যাই, তখন ক্রীড়া সরঞ্জাম কেনার জন্যে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। এমতাবস্থায় আমার বাবা আমার পারিবারিক জায়গা বিক্রি করে দেন এবং তাতে পাওয়া ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে নিজের জুতা সহ ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় করে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন করা ও উন্নত মানের ক্রীড়া সামগ্রী সহ ডায়েট। এজন্যে আমি কচুয়ার কৃতী সন্তান ড. সেলিম মাহমুদ স্যার সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। আমি ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাই। সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে পারবো। আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।