প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
গোটা বিশ্বেই সকলের প্রিয় খেলা ফুটবল। আর এই ফুটবল একসময় খেলতেন শুধু পুরুষরাই। কিন্তু বর্তমান সময়ে পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরাও নিয়মিত ফুটবল খেলে যাচ্ছেন। মেয়েদের নিয়ে এখন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাও হচ্ছে। সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এখন নারীদের নিয়ে প্রমীলা ফুটবল খেলা শুরু হয়েছে এবং হচ্ছে। এক সময় এ দেশে নারীরা কোনো ধরনের খেলাতেই অংশ নিতেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে এ দেশে নারী ফুটবল, ক্রিকেটসহ ক্রীড়াভিত্তিক বিভিন্ন ইভেন্টেই অংশ নিচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলাতেও নারী (প্রমীলা) নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন সহ জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলছেন। জেলাতে ৩টি ফুটবল একাডেমীতে নারীরা নিয়মিত অনুশীলন করছেন।
চাঁদপুর সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীতে অনুশীলন চলাকালে প্রমীলা ফুটবলার নুহান আক্তার ও আফরোজা আক্তারের সাথে ক্রীড়া কণ্ঠের প্রতিবেদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরামের সাথে আলাপকালে তারা তুলে ধরেন ফুটবল খেলা নিয়ে তাদের স্বপ্ন। তাদের তুলে ধরা কথাগুলো পাঠকদের জন্যে হুবহু পত্রস্থ করা হলো।
এসএসসি পাস করে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে। হাইস্কুলে পড়াবস্থায় ফুটবল খেলাসহ অন্যান্য খেলার সাথে জড়িত ছিলেন। ছোটকাল থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি তার অনেক আগ্রহ। হাইস্কুলে পড়াবস্থায় জেলা পর্যায়ের শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে খেলেছেন অনেক ম্যাচ। ফুটবল খেলার কারণে জেলা পর্যায় থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে খেলারও সুযোগ পেয়েছেন। তিনি হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁর সেন্দ্রা বাড়ির নুহান আক্তার। তার বাবার নাম মরহুম বাবুল পাটওয়ারী। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সে বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে। বর্তমানে সে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
ক্রীড়া প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নারী ফুটবলার নুহান বলেন, আমি ছোটকাল থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি অনেক আগ্রহী। প্রাইমারি স্কুলে পড়াবস্থায় আমি আমার এলাকাতে ফুটবল খেলা শুরু করি। আমি জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে চাই। আমি আমার এলাকা থেকে প্রতিদিন ফুটবল অনুশীলনের জন্যে চাঁদপুর সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীতে চলে আসি। আমি স্ট্রাইকার পজিশনে খেলি এবং নিয়মিত ফুটবল অনুশীলনসহ বড় বড় ফুটবলারদের খেলা দেখি। আমি আমাদের হাই স্কুলের পক্ষ থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব গোল্ডকাপ সহ শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ফুটবল চাঁদপুরে খেলেছি। সেখানে খেলতে আসার সময় দেখতাম, সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীতে মনোয়ার স্যার, জাহাঙ্গীর গাজী নিয়মিত ছেলে ও মেয়েদেরকে অনুশীলন করাচ্ছেন। আমি গত ৭ থেকে ৮মাস ধরে সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীতে অনুশীলন করে যাচ্ছি। আমার এখানে অনুশীলন করতে ভালো লাগে। এখানকার কোচরা ফুটবল খেলার ব্যাপারে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে যদি নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করা হতো, তাহলে আমরা যে অনুশীলন করছি, সেটি আমাদের সার্থক হতো। আমি চাই নিয়মিত অনুশীলন করতে এবং নিয়মিত ফুটবল খেলতে।