শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গনের কালো অধ্যায়
শামীম হাসান ॥

২০২১ সালের আগস্টে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২৪ দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রথম আসর সম্পন্ন হলেও টুর্নামেন্টটি আর শেষ হতে পারলো না। টুর্নামেন্টের শেষদিকে প্রথম সেমি-ফাইনালের পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমকে যায় টুর্নামেন্টের অগ্রযাত্রা। ক্যালেন্ডারের পাতার হিসেবে প্রথম সেমি-ফাইনাল সম্পন্ন হওয়ার পর প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ম্যাচটি আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে প্রথম সেমি-ফাইনালে জয়ী নোয়াগা ফুটবল একাদশ এবং দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ওঠা ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস্ ক্লাব ও গল্লাক ফুটবল একাদশের টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেমি-ফাইনালে ওঠা দলগুলোর খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি-ফাইনাল ম্যাচের পর গত দুবছরে আমরা বহুবার আয়োজক কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ম্যাচ কবে হবে তা জানতে চেয়েছি। কমিটির সদস্যরা হচ্ছে/হবে বলে জানিয়ে আসলেও কবে নাগাদ হবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল, তা নিয়ে চলছে এখনও শুধুই ধোঁয়াশা। কেননা খেলা আয়োজনের লক্ষ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির দৃশ্যমান কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়ছে না।

‘শেষের দিকে এসে কেন থেমে গেলো এই টুর্নামেন্ট’ এ বিষয়ে জানার জন্যে যোগাযোগ করা হয় টুর্নামেন্ট কমিটির একাধিক সদস্যের সাথে। তারা অভিযোগ তুলে জানান, টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয় তাহসীন কেপসি বনাম নোয়াগা ফুটবল একাদশ। ম্যাচে পরাজয় বরণ সহ্য করতে না পেরে প্রতিপক্ষ মারামারির মতো ঘটনা ঘটায়। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। এর পরবর্তীতে মাঠের পুনঃসংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আরো কিছু বিষয় যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আমরা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল আয়োজন করতে পারবো।

‘কেন হচ্ছে না টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচ’ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্যে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান বেপারীর সাথে। মুঠোফোনে দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়েও তাতে সফল হওয়া সম্ভব হয় নি।

যথাসময়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন শেষ না হওয়ায় স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় ক'জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, টুর্নামেন্ট শেষ দিকে এসে বন্ধ হওয়া সত্যিই দুঃখজনক। টুর্নামেন্ট বন্ধ হওয়ার কারণে এলাকার ইমেজ সংকট এড়ানোর জন্যে হলেও টুর্নামেন্ট কমিটির দায়িত্বশীলরা উদ্যোগ নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করা দরকার। আমরা স্থানীয়রা প্রত্যাশা করি, আয়োজক কমিটি টুর্নামেন্ট দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, টুর্নামেন্ট কমিটির ঘোষণা মতে, টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও রানারআপ দলকে ত্রিশ হাজার টাকার প্রাইজমানি দেয়ার কথা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়