শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০

আগামীতে চেষ্টা করবো গণি স্কুলকে আরো ভালো রেজাল্ট দেয়ার
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

এক সময় গণি স্কুলের হয়ে খেলেছেন আন্তঃস্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সহ ক্রিকেটের বিভিন্ন ম্যাচ। সেই ক্রিকেট খেলার কারণে পর্যায়ক্রমে তিনি পেয়েছেন বিভিন্ন দায়িত্ব। দীর্ঘদিন ধরেই ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী সহ চাঁদপুর জেলা ক্রিকেট দলের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুন করে যোগ হয়েছে যে বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন কাটিয়েছেন সেই বিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব। দায়িত্ব নেয়ার পরই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে দলের জন্যে কাজ করেছেন সর্বোচ্চ আন্তরিকতায়। চলতি বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে থাকাবস্থায় পলাশকুমার সোমের প্রচেষ্টায় সারা দেশের ৩৪৮ টি স্কুলের মধ্যে দলটি রানার্স আপ হয়েছে। ফাইনাল খেলা শেষে দলটি চাঁদপুর এসে পৌঁছলে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা হয় 'ক্রীড়াকণ্ঠে'র এ প্রতিবেদকের সাথে।

আলাপকালে তিনি বলেন, আমি গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কোচের দায়িত্ব পেয়েছি ২০২০-এর শেষের দিকে। ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ সালে জেলা পর্যায়ে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট খেলার শুরুতে আমাকে দায়িত্ব নিতে উদ্বুদ্ধ করেন শামীম আক্তার ফারুকী স্যার । তারপর আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের সাথে দেখা করি এবং দলের দায়িত্ব নেই। দায়িত্ব নেয়ার সময় দলের অবস্থা ছিল মোটামুটি । আমি বিদ্যালয়ের ক্রিকেটার এবং বিদ্যালয়ের বাইরের ৫জন ক্রিকেটার নিয়ে কাজ শুরু করি। ওই দলে তখন যেই ৫জন ছিলো বাইরের, তাদের মধ্যে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর খেলোয়াড় সহ বিভাগীয় পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো। তাদেরকে নিয়ে আমি তিন মাসের জন্যে প্র্যাকটিস শুরু করি। আমাকে যখন গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব আব্বাস উদ্দিন স্যার দেন, তখন তাঁকে একটা কথা বলেছিলাম, স্যার! আমি চেষ্টা করবো আপনার বিদ্যালয়কে ক্রিকেটে ভালো একটি রেজাল্ট বের করে দেয়ার। স্যারের অনুপ্রেরণা এবং বিদ্যালয়ের ৬ জন ও বাইরের ৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে অনুশীলন শুরু করলাম। আমাদের বিদ্যালয়টি যখন জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন একটাই স্বপ্ন দেখেছিলাম, বিভাগীয় রাউন্ডে নকআউট সিস্টেমের খেলায়ও আমরা জয়লাভ করবো।

পলাশ কুমার সোম বলেন, জেলা পর্যায়ে যে টিমটা ছিল আমার হাতে, বিভাগীয় পর্যায়েও কিন্তু একই টিম নিয়ে খেলেছি। বিভাগীয় পর্যায়ে ভালো করার পরই চিন্তা জাগে দলকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। দল যখন জাতীয় পর্যায়ে যায়, তখন একটা প্ল্যানিং ছিল যে, স্টেপ বাই স্টেপ সব নকআউট ম্যাচেই জিততে হবে। আমাদের স্বপ্ন ছিলো ফাইনাল খেলবোই। আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হতে পারি নি, রানার্স আপ হয়েছি।

তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে কি, জাতীয় পর্যায়ে সেমি-ফাইনালে দলটি ওঠার পর অনেক আনন্দ লেগেছে। আমি এ টুর্নামেন্টের আগে বিসিসি একাডেমী কাপ ক্রিকেটেরও দায়িত্ব পেয়েছিলোম শামিম স্যারের মাধ্যমে । আমাদের চাঁদপুরের দলটি বিসিবি একাডেমী কাপে সারা বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে। ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী বিসিবির তালিকায় এখন দেশের দ্বিতীয় একাডেমী।

তিনি বলেন, খেলায় একদল জিতবে আর একদল হারবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিলো, ফাইনালে উঠেছি অনেক কষ্ট করে, ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হবো। দলের সবাই তাদের সামর্থ্যের সবটুকুন দিযে চেষ্টা করেছে, এটাই অনেক কিছু। শেষ পর্যন্ত রানার্স আপ হয়েছে দল। এতোটুকুতে সান্ত¡না পেলেও মন খারাপ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আমাকে আবারো দায়িত্ব দেয় তাহলে চেষ্টা করবো বিদ্যালয়কে আরো ভালো কিছু দেয়ার। আজ সুযোগ পেয়ে আপনার মাধ্যমে বলতে চাই, খেলা চলাকালীন যারা আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়