শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০

শুরু হলো হিলশা ফুটবল একাডেমীর পথচলা
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

চাঁদপুর শহরে নতুন করে একাডেমীভিত্তিক ফুটবলারদের নিয়ে প্রশিক্ষণের পথচলা শুরু হলো হিলশা ফুটবল একাডেমীর। এ একাডেমীর মুল উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রয়েছেন সাবেক ফুটবলার এবং আউটার স্টেডিয়াম এলাকা নিবাসী ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী ওয়াহিদুর রহমান বাবু। ইতিমধ্যে জেলা শহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা একাডেমীতে ভর্তি হয়ে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৯ মে ২০২৩) ক্লাবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে।

ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, এ একাডেমীটির প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল কিছুর মূল দায়িত্বে থাকবেন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। একাডেমীর প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক ফুটবলার ও ফুটবল কোচ স্বপন চৌধুরী।

চাঁদপুর জেলা শহরে এ একাডেমীটি আত্মপ্রকাশ করার আগে সাবেক ক’জন ফুটবলার দুটি একাডেমী পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে ওই দুটি একাডেমীতে পুরুষ ফুটবলারদের পাশাপাশি প্রমীলা ফুটবলারদের অনুশীলন করানো হয়। নতুন করে যে একাডেমীটির কার্যক্রম শুরু হলো, এটি জেলা শহরে তৃতীয় ফুটবল একাডেমী হিসেবে পরিচালিত হবে উদীয়মান ফুটবলারদের নিয়ে। জেলা শহর ছাড়াও মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ ও শাহারাস্তিতে সাবেক ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠকরা নিজ নিজ এলাকায় একাডেমী করে সেখানে উদীয়ামন ফুটবলারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন।

রোববার বিকেলে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, কিছু উদীয়মান ফুটবলার হিলশা ফুটবল একাডেমীর জার্সি পরে মাঠে অনুশীলন করছেন একাডেমীটির প্রধান কোচের মাধ্যমে। সেখানে সাগর, আরিয়ান, সোহাগ, রাশেদ, সিয়াম, শুভ, নাজমুল, অনিক,আরিফ, ইয়াসিন, অনুরাগ, সাব্বির, মেহেদী (১), রাকিব,সজীব (১), সজীব (২), আমিন, নাহিদ, মিনহাজ, মেহেদী(২), বাহার, মাহিদ, ইমন, তুহিন, প্রমিত, রাকিন, রাহাদ, সায়েম শেখ, রাদুল ও অনুব অনুশীলন করছেন ফুটবল নিয়ে।

চাঁদপুর স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় ঘুরে জানা যায়, এ ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তিনি শহরের দুটি ফুটবল একাডেমীর খেলোয়াড়দের বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। জেলা ও উপজেলার অনেক ফুটবলারকে তিনি ফুটবল, জার্সি সহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। আউটার স্টেডিয়ামের পাশে বাসা থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি অবসর সময় তিনি মাঠে ছুটে আসেন এবং খেলোয়াড়দের পাশেই থাকেন।

একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ফুটবলার ওয়াহিদুর রহমান বাবুর সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি জানান, এ একাডেমীটি গঠন করার মূল উদ্দেশ্যে হলো, উঠতি বয়সী যুবকরা যেনো খারাপ পথে না যেতে পারে, খেলাধুলার সাথে তারা যেনো সবসময় জড়িত থাকে। স্কুল ছুটির পর অনেক ছেলেই বিভিন্ন স্থানে আড্ডায় জড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আবার মাদক, ইভটিজিং সহ অনেক কিছুর সাথে জড়িত হয়ে যায় সহজেই। তারা যদি খেলাধুলার সাথে জড়িত থাকে, তাহলে এ সময় উঠতি বয়সী ছেলেরা খারাপ পথে পা বাড়াবে না। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার সাথে জড়িত থাকলে সামনের দিকে ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। এই একাডেমী থেকে যদি ভালো মানের ফুটবলার সৃষ্টি হয়, তাহলে ভালো লাগবে এজন্যে যে, এই একাডেমীর ফুটবলারই ঢাকা সহ বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন। আমি চেষ্টা করবো একাডেমীর সকল ফুটবলারের পাশে থেকে তাদেরকে খেলাধুলা ও পড়াশোনার ব্যাপারে সহযোগিতা করার। এজন্যে আমি চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলার বিভিন্ন বয়সী ক্রীড়া সংগঠক সহ অন্যদের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।

একাডেমীর প্রধান কোচ ও সাবেক ফুটবলার স্বপন চৌধুরীর সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে তিনি বলেন, একাডেমীটির জন্যে সাবেক ফুটবলার ওয়াহিদুর রহমান বাবু ভাই গত ক’মাস ধরে অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফুটবলারদের ও তাদের পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলে একাডেমীতে ভর্তি ও সুযোগ করে দিচ্ছেন ফুটবলারদের। আমি একসময় ঢাকায় ভিক্টোরিয়া ও ব্রাদার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত ফুটবল খেলেছি। আমি এ ক্লাবের দায়িত্ব নেয়ার আগে ঢাকায় ক্লাবের বেশ ক’জন উঠতি বয়সী ফুটবলারদের খেলার বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে ওই দুই ক্লাবের কোচ ও কর্মকর্তাদের সাথে। আশা করি চাঁদপুরের এই একাডেমী থেকে কমপক্ষে দুজন ফুটবলার ঢাকার প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে যেনো খেলতে পারে সেই ব্যবস্থা সহসাই করা যাবে। বর্তমানে যে ক’জন ফুটবলার একাডেমীতে ভর্তি রয়েছে, তারা যদি ঠিকমতো অনুশীলন করে, তাহলে চাঁদপুরের যে কোনো ক্লাবের হয়ে জেলা ফুটবল লীগ ও জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবলে অন্যান্য ফুটবলারের সাথে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে তারা ভালোই খেলতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়