শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

এভারগ্রীন ক্লাবের দুটি লীগের ফাইনাল
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

চাঁদপুরের সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠন এভারগ্রীন ক্লাবের আয়োজনে দুটি লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিজন-৯ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে এভারগ্রীন লীগের শিরোপাজয়ী (চ্যাম্পিয়ন) হলেন ডাঃ মোঃ জালাল উদ্দীন রুমী ও প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জুটি এবং চ্যাম্পিয়ন লীগে শিরোপাজয়ী (চ্যাম্পিয়ন) হলেন লক্ষ্মণ সরকার ও প্রভাষক মুরাদ হোসেন জুটি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ৯টায় চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন ইনডোর মাঠে চাঁদপুর এভারগ্রীন ক্লাবের সিজন-৯ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ২০২৩-এর ফাইনাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক এডিসি জেনারেল ও ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

ক্লাব সভাপতি ডাঃ মোঃ জালাল উদ্দিন রুমীর সভাপতিত্বে চ্যাম্পিয়ন লীগের ফাইনাল খেলা শুরু হয়। সার্বিকভাবে সহযোগিতায় ছিলেন ক্লাবের মহাসচিব ও চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম ভূঁইয়া এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ মশিউর রহমান।

লীগে অংশ নেয়া দলগুলো ছিলো : ‘এ’ গ্রুপে ডাঃ মোঃ জালাল উদ্দীন রুমী ও প্রকোশলী সুলতান মাহমুদ জুটি, মোঃ সিরাজুল ইসলাম পাটওয়ারী ও দেলোয়ার হোসেন খান জুটি এবং অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন ও মোঃ মাসুদুর রহমান জুটি। গ্রুপ ‘বি’তে--মোঃ আবুল কালাম ভূঁইয়া ও প্রকৌশলী সাজ্জাদ ইসলাম জুটি, প্রভাষক আব্দুল খালেক মুন্সী ও খালেদ মাহমুদ মানিক জুটি এবং মোঃ রফিকুল ইসলাম রাসেল ও মাকছুদুর রহমান জুটি।

প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ডে এ গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনালে উঠে ডাঃ রুমি-সুলতান ও শাহাদাত-মাসুদুর রহমান জুটি। ‘বি’ গ্রুপ থেকে আবুল কালাম ভূঁইয়া-সাজ্জাদ ইসলাম ও আবদুল খালেক-খালেদ মাহমুদ মানিক জুটি। ফাইনালে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ডাঃ জালাল উদ্দীন রুমী ও প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জুটি। রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে প্রভাষক আবদুল খালেক মুন্সি নয়ন ও ব্যাংকার খালেদ মাহমুদ মানিক জুটি।

চ্যাম্পিয়নলীগে অংশ নেয়া দলগুলো হলো--‘এ’ গ্রুপে মনির হোসেন ও গোবিন্দ সাহা জুটি, মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ঝুটন ও প্রভাষক ফজলুর রব রাসেল জুটি এবং লক্ষ্মণ সরকার ও প্রভাষক মুরাদ হোসেন জুটি। গ্রুপ ‘বি’তে সৈয়দ মুশিউর রহমান ও মোঃ আলমগীর আলম জুয়েল জুটি, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মিঠু ও প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরী জুটি, মোঃ আলমগীর আলম মিয়াজী ও গিয়াস কবির জুটি এবং মোঃ মাসরুর হাসান ও মোঃ ফারুক হোসেন জুটি।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে লক্ষ্মণ সরকার ও প্রভাষক মুরাদ হোসেন জুটি এবং রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে ব্যাংকার মোঃ মনির হোসেন ও গোবিন্দ সাহা।

চ্যাম্পিয়ন লীগের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন ডাঃ মোঃ জালাল উদ্দিন রুমী, মোঃ আবুল কালাম ভূঁইয়া, সৈয়দ মুশিউর রহমান, প্রভাষক ফজলুর রব রাসেল ও মাসুদুর রহমান।

স্কোরার ছিলেন মোঃ আলমগীর মিয়াজি আলম, ধারা বর্ণনায় : মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ঝুটন ও মোঃ গিয়াস কবির। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী সাজ্জাত ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসেন খান, প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন, প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরী, ব্যাংকার তাজুল ইসলাম নজরুল, মোঃ আলমগীর আলম জুয়েল, মাসরুর হাসান ভূঁইয়া সোহাগ, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ফারুক হোসেন মজুমদার প্রমুখ।

এভারগ্রীন ক্লাবের সভাপতি ডাঃ জালাল উদ্দীন রুমী এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতি বছর শীতকালীন মৌসুমে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয় নভেম্বর মাসে। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ খেলার মাধ্যমে প্রতি বছর শীতকালীন মৌসুমের পাঁচ মাসব্যাপী চাঁদপুর এভারগ্রীন ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত সকল শ্রেণি-পেশাজীবীদের মিলনমেলা ঘটে, যা উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়।

ক্লাবের মহাসচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া এবং ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মশিউর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, সিজন-৯ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট শুরু হয় ২০২২ সালের ১ নভেম্বর। এতে অংশগ্রহণকারী সকলেই বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। সারাদিন কাজ শেষ করে সন্ধ্যার পর সকলেই খেলাধুলায় একসাথে মিলিত হয়। এতে করে সকলের সাথে সকলের সম্পর্কটা গভীর হয়। সারাদিন পরিশ্রমের পর খেলাধুলায় মনটা একটু সতেজ হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়