প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
গত ১০ বছরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনে উল্লেখযোগ্য আয়োজন ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস্ ক্লাব (পূর্বনাম ইত্যাদি স্পোর্টস্ ক্লাব)-এর হাত ধরেই। যে ক’জন ক্রীড়া সংগঠকের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস্ ক্লাব, তাদের মধ্যে অন্যতম জাহিদুল ইসলাম রাসেল।
২০১২ সালের আগে 'ফরিদগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব', 'সানফ্লাওয়ার ক্লাব', 'সূর্যমূখী স্পোর্টস্ ক্লাব' সহ বেশ ক'টি ক্রীড়া সংগঠন ফরিদগঞ্জে থাকলেও সঠিক পরিচালনার অভাবে হারিয়ে গিয়েছিল সেই ক্লাবগুলোর কার্যক্রম। সে সময় জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে যে ৫-৭ জন মিলে ইত্যাদি স্পোর্টস্ ( ২০১৭ সালের শেষের দিকে ক্লাবটির নাম পরিবর্তন করে করা হয় ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস্ ক্লাব) ক্লাব গঠন করেছিলেন, তাদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম রাসেল ছিলেন অন্যতম। ক্লাবটি প্রতিষ্ঠার পর এই ক্রীড়া সংগঠক টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠার বছর ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের তিন বছর মেয়াদী কমিটিতে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জিয়াকে সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তিন বছর পর ক্লাবের পরবর্তী কাউন্সিলে সভাপতি পদে পরিবর্তন হয়। ২০১৫-২০১৬ মেয়াদে মোরশেদ আলম সভাপতি নির্বাচিত হন। আর দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জাহিদুল ইসলাম রাসেল। জাহিদুল ইসলাম শুধু যে ক্রীড়া সংগঠক তা-ই নয়, খেলোয়াড়ী জীবনে মাঠের খেলায় বেশ প্রশংসিত নাম। ক্রিকেটে ব্যাট ও বল হাতে সমান পারদর্শী। সেই সাথে ফুটবল মাঠে একজন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার। এজন্যে ক্রীড়াঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বারবার। বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস্ ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্রীড়াকণ্ঠে ধারাবাহিক ক্রীড়া সংগঠকদের ভাবনার প্রথম পর্বে থাকছেন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক জাহিদুল ইসলাম রাসেল। প্রশ্নোত্তর আকারে নিচে তুলে ধরা হলো তার ভাবনা।
ক্রীড়াকণ্ঠ : কেমন আছেন?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনার খেলাধুলায় পথচলা কত সাল থেকে?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : ২০০৯ সালে আমার পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার পর থেকে একজন খুদে খেলোয়াড় হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে আসা।
ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলোয়াড় নাকি ক্রীড়া সংগঠক এ দুটির কোন্ জায়গাটি আপনি বেশি উপভোগ করেন?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : খেলোয়াড়ি জীবন বেশ উপভোগ্য, তবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করলে ক্রীড়া উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। সেজন্যে আমি ক্রীড়া সংগঠকের জায়গাটাকেই বেশি উপভোগ করি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : কার হাত ধরে বা কিংবা কার অনুপ্রেরণায় ক্রীড়া সংগঠক হয়ে উঠেছেন?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : ছোটবেলা থেকে মাঠে গিয়ে দেখতাম জিয়াউর রহমান জিয়া কাকা বিভিন্ন খেলার আয়োজন করেন এবং সে আয়োজনগুলো ছিলো বেশ সাড়া জাগানো। সেখানে নিজের মনের মধ্যে ক্রীড়া সংগঠক হয়ে ওঠার ইচ্ছে জাগে এবং কালক্রমে জিয়াউর রহমান জিয়া সহ আমি তৎকালীন ইত্যাদি স্পোর্টস ক্লাবের নেতৃত্ব দেই।
ক্রীড়াকণ্ঠ : বর্তমানে আপনার উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন সঠিক ধারায় আছে কি?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : করোনার কারণে সারাদেশের ক্রীড়াঙ্গন যেমন স্থবির হয়ে পড়েছিলো, তেমনটা হয় আমাদের ফরিদগঞ্জেও। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে ফরিদগঞ্জ সদরে আই স্পোর্টস্ উন্মুক্ত ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে মাঠের খেলায় প্রাণ ফিরেছে। তাই আমি মনে করি, মাঝখানে একটা বিরতি গেলেও এখন আমাদের উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন সঠিক ধারায়ই আছে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : বর্তামান সময়ে আপনার উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে আপনার পরামর্শ কী ?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে যে বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়, তাতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সাথে জাতীয় মানের তারকা খেলোয়াড়দের পদচারণা ঘটে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে। কিন্তু, গত ক’বছর এমন ধরনের টুর্নামেন্ট খুব একটা আয়েজন হচ্ছে না। এ ধরনের বড় বড় আয়োজনগুলো বেশি বেশি হলে নতুন নতুন ক্রীড়া প্রতিভা বেরিয়ে আসবে। তাই ক্রীড়াঙ্গনের বড় আয়োজনই পারে এই অঞ্চলের ক্রীড়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ক্রীড়া সংগঠকদের ক্রীড়াঙ্গন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন্ বিষয়টি সবচেয়ে বেশি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের যথাযথ পরিচর্যা ও সুযোগ দেয়া হলে যেমনি করে ক্রীড়াঙ্গন প্রতিভাবান নতুন খেলোয়াড় পাবে, একই সাথে এই অঞ্চলের খেলাধুলা ও খেলোয়াড়দের সমৃদ্ধি বাড়বে বহু গুণে। সেজন্যে কোনো স্বজনপ্রীতি নয়, সকল ক্ষেত্রে প্রতিভাবানরাই যেন মূল্যায়িত হয় সে বিষয়টিতে ক্রীড়া সংগঠকদের নজর দেওয়া অধিক জরুরি।
ক্রীড়াকণ্ঠ : ধন্যবাদ আপনাকে।
জাহিদুল ইসলাম রাসেল : আপনাকেও ধন্যবাদ।