শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

সাফল্যময় জীবন

সৈয়দা কাশপ্রিয়া চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক

সংগ্রাম শেষে ইয়াদুল ইসলাম সফলতার সিঁড়ি জীবন বড়ই বিচিত্রি। একসময় এমন ছিলো প্রতি বেলায় খাওয়ার মতো অর্থ তার ঘরে ছিলো না। জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে আজ একটা ভালো চাকরি করে সে। বাবা-মা বড়ো দুঃখে মানুষ করেছে তাকে। আজকের জায়গায় পৌঁছাতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।

অতীতের পানে ফিরে তাকালে সে দেখতে পায় জীবন-বাস্তবতার রূপ। দারিদ্র্যের কারণে কী করুণ পরিস্থতিই না পাড়ি দিয়ে এসেছে সে। ভাবতে গেলে আজ অনেক কথাই মনে পড়ে। ঝাপসা হয়ে আসে চোখ। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে তার কষ্টের দিনগুলোর কথা। যদিও এখনকার দিনগুলো তখনের মতো এক কষ্টের নয়। তখন টাকার অভাব ছিলো।

বাবা-মায়ের স্বপ্ন-তাদের ছেলে পড়ালেখা শিখে বড় চাকরি করবে। তখন আর কোনো দুঃখ থাকবে না। তখন ছেলের টাকার অভাব হবে না। বাবা-মায়ের স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। আজ বাবা-মা দেখেছে তার সাফল্য।

অভাবের সংসারে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বাবা-মা সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। অবশ্য ইয়াদুল ইসলামও ভালো এবং মেধাবী ছাত্র ছিলো। ছোটবেলা থেকে ক্লাসে কখনো সে দ্বিতীয় হয়নি। আর পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ ছিলো প্রবল। শুধু মেধায় কি আর হয়? খেয়ে-পরে তো বাঁচতে হবে আগে। তখন দু বেলা দু মুঠো ভাতও তাদের জুটতো না।

বাবা যা সামান্য আয়-রোজগার করতেন তাতে সংসার চলতেই কষ্ট হতো। তার ওপর পড়ালেখার খরচ চালানো ছিলো রীতিমত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু যতোই অভাবের টানা-পোড়েন থাকে কিছুতেই দমে যায়নি ইয়াদুল ইসলাম। দরিদ্র বাবা-মায়ের কষ্ট হলেও ছেলেকে তারা শিক্ষিত হওয়াও প্রেরণা দিয়েছেন। এভাবে বহু কষ্টে অনেক কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করে। তারপর এইচএসসিতে সে ভালো ফলাফল অর্জন করে। এরপর স্নাতক।

শুরু হয় ইয়াদুল ইসলামের জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার কঠিন সংগ্রাম দরিদ্রতাসহ নানা কারণে তার ভেতর ক্ষোভের সৃষ্টি করে। দরিদ্রতাকে ঘুচাতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। এভাবে দিন-রাত পড়াশোনা করে একদিন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পড়াশোনা করে। সে বিসিএস পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করে। আজ তার কিছুরই অভাব নেই মাস শেষে মোটা অংকের বেতন, সামাজিক সম্মান ও বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায় জীবনের সাফল্য আজ তার কানায় কানায় পূর্ণ।

লেখক : পুরাণবাজার, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়